ডিজিটাল প্রত্যারণার স্বীকার শিশু হাসান আল বান্না

খাদেমুল মোরসালিন শাকীর, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি: মানবাধিকার সবার জন্য সর্বত্র সমান। মানবাধিকার মানবতা ও ক্ষমা কি নির্বাসনে? শাহজাহানপুর বগুড়ার ‘আর এস এফ মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ডিজিটাল প্রত্যারক সিবলী সাদেকের চরম হিংস্রতার বিষাক্ত খপ্পরে পড়ে শিক্ষা জীবন হারিয়ে শিক্ষা বিহীন সাগরে ভাসমান রোহিঙ্গা শিশুর পিতা শহিদুল ইসলামের হৃদয় কাঁপানো আহাজারি।

শহিদুল নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ বড়ভিটা গ্রামের একজন ভূমিহীন নিঃস্ব ব্যক্তি। তিনি বলেন, মহাখালি ঢাকা থেকে পরিচালিত বগুড়ার শাহজাহানপুরে ‘আর এস এফ মডেল স্কুল এন্ড কলেজে (ইংলিশ মিডিয়াম) আবাসিক সুবিধাসহ বিনা খরচে প্রতিষ্ঠানের শর্তে আমার ১/২ বেলার উপোষী শিশু সন্তান ‘হাসান আল বান্না’ ৬ষ্ঠ শ্রেণী, ক্যাডেট নং- ৪৫, প্রথম শ্রেণী হতে ৬ষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত সুনাম ও কৃতিত্বের সাথে অধ্যয়ন করে আসছে।

কিন্তু সহপাঠী রাসেলের মোবাইল ফোনে মায়ের সাথে কথা বলার অপরাধে আমার শিশু সন্তানকে বহিস্কার করে মরুপ্রাণ শিশু সন্তানটির শিক্ষা জীবন ধ্বংস করে দেয়। শিক্ষা জীবনের সমাধি রচনা করেন, আহাজারি করে কেঁদে কেঁদে শহিদুল এই প্রতিবেদকের সামনে বলতে থাকেন, আমার শিশু ছেলে শিক্ষা জীবন হারিয়ে অনাহারে- অর্ধাহারে ক্ষুধার্ত বঞ্চনায় নিষ্পেশিত জীবন নিয়ে পথ শিশু টোকাইর ন্যায় মানবেতর জীবন যাপন করছে।

হৃদয়ের সঞ্চিত ব্যাথা নিয়ে শিক্ষা জীবন ফেরত পাবার আশায় বারবার আবেদন করে ও সফলতা না পেয়ে সিঃস্ব ভূমিহীন শিশুটির সামন্য ভূল একবারের অপরাধে শিক্ষা জীবন থেকে বঞ্চিত করে। ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়–য়া শিশুটি এখন একটি বাসার দৈনিক তিন বেলা খাবারের বিনিময়ে কাজের বুয়া হিসেবে কর্মরত।

এই নির্যাতিত শিশুটির পিতা কারো কাছে আর্থিক সাহায্য চায় না। তার সন্তানকে উক্ত প্রতিষ্ঠানে পুনরায় অধ্যয়নের সুযোগ চায়। এটাই তার জীবনের সর্বোচ্চ চাওয়া পাওয়া। ক্ষমার আবেদনের পরে ও ফলাফল শূন্য হেতু নিরাশ হয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানে গিয়ে আত্বহত্যা করে জীবনের সমাপ্তি ঘটানোই তার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

এ সব বলে বিভিন্ন মহৎপ্রাণ ব্যক্তির দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। এ এক কঠিন দুঃসময়! এ দুঃসময়ে ভাল থাকবেন কি করে ? শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে অফিস- আদালতে, ঘরে- বাইরে, মাঠে- ঘাটে, পত্র- পত্রিকায় সবখানেই প্রত্যারণা, প্রত্যারণার ভাষা ছাড়া আর কোন ভাষা নেই যেন! কবি শাহাদাৎ হোসেনের কবিতার সাথে সুর মিলিয়ে বলতে ইচ্ছা করে,‘‘ আর কভু গাহিব না গান, নিভেছে দিনের আলো, জীবনের মধ্যাহ্ন বেলায়।’’



মন্তব্য চালু নেই