ডিভোর্সের আগেই যদি আমি জানতে পারতাম….

স্বামী-স্ত্রীর মধুর সম্পর্ক প্রতিটি দেশেই। সেই মধুর সম্পর্কে যদি ফাটল ধরে তবেই

ডিভোর্সের (তালাক দেয়া) দিকে ধাবিত হয় স্বামী। স্বামী-স্ত্রীর শুধু ছাড়াছাড়িতেই না, বিভিন্ন দেশের আইন অনুযায়ী সম্পত্তিও ভাগাভাগি হয়ে যায়। অনেকেরই হয়তো এ বিষয়ে ধারণা থাকে না। কিন্তু ছাড়াছাড়ির পর বলে থাকেন- ডিভোর্সের আগেই যদি আমি এ বিষয়ে জানতে পারতাম!

স্বামী-স্ত্রীর ডিভোর্স প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যেতে হলে এ বিষয়গুলো নিয়ে কোনো অভিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নিয়ে নেয়া উচিত।

তবে ডিভোর্সের কারণে যেসব জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে, তার একটি চিত্র এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ফোর্বস।

১. সম্পত্তির মূল্য

যেসব দেশে ডিভোর্সের পর সম্পত্তি স্বামী-স্ত্রীর মাঝে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় সেখানে ডিভোর্সের আগেই সম্পত্তির মূল্য জেনে রাখা ভালো, যাতে পরবর্তীতে জামেলা পোহাতে না হয়। সঠিকভাবে মূল্য জানতে না পারলে তা আর্থিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কারণ হতে পারে। এক্ষেত্রে বিরোধ তৈরি হলে স্বতন্ত্র কোনো প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সম্পত্তির মূল্য যাচাই করতে হয়।

২. প্রাথমিক আবাস

বিয়ে বিচ্ছেদ হয়ে গেলে প্রাথমিক আবাসস্থল হিসেবে কোন স্থানটি রাখবেন তা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একাধিক বাড়ি থাকলে আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। মার্কিন আইনে আপনার স্ত্রী যদি নির্দিষ্ট কোনো স্থানে থাকতে চান এবং আপনার সে স্থানে বাস করার আর্থিক সামর্থ্য থাকে তাহলে তাকে সেখানে থাকার খরচ যোগাতে হতে পারে। এ কারণে প্রাথমিক আবাসস্থলটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে ওঠে।

৩. মামলা মোকদ্দমা

ডিভোর্সের পর পারস্পরিক দেনা-পাওনা নিয়ে মামলা-মোকদ্দমাও কম হয় না। আপস-মীমাংসায় ডিভোর্স হলে সবচেয়ে ভালো। আইনি ঝামেলায় জড়ালে তাতে উভয়েরই অর্থ ব্যয় হতে পারে। এক্ষেত্রে আইনের বিষয়গুলো ভালোভাবে জেনে নিতে অভিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নেয়া যেতে পারে।

৪. ভবিষ্যতের ব্যয় নির্বাহ

বিয়ে বিচ্ছেদের পর এটা একটা বড় সমস্যা। স্বামীর চেয়ে স্ত্রীর এদিকটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচ্ছেদ প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে যদি যেতে হয় তাহলে ভবিষ্যতের ব্যয় নির্বাহের বিষয়টি মাথায় রাখুন। আপনার, আপনার সন্তানের খরচ কীভাবে নির্বাহ করা হবে তা একত্রে বসে আলোচনা করে নিন। তবে কোনো অবস্থাতেই মামলায় না জড়ানোয় বুদ্ধিমানের কাজ।



মন্তব্য চালু নেই