ডিভোর্সের আসল কারণ ফেসবুকে জানালেন আরেফিন রুমি

১০ ফেব্রুয়ারি গণমাধ্যমে আলোচিত ও সমালোচিত ছিলো সঙ্গীতশিল্পী আরেফিন রুমির দ্বিতীয়বার ঘর ভাঙার খবর। ঘর ভাঙার এ খবরে খল নায়ক হিসেবে চিত্রিত হয়েছেন রুমি, কারণ তিনিই তার দ্বিতীয় স্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী কামরুন নেসাকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন।

আলোচিত এ ঘটনার পরে রুমি তার ফেসবুকে জানালেন স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার কারণ। অন্যদিকে ছেলের খবর প্রকাশ হওয়ার পর বিভিন্ন গণমাধ্যমের সঙ্গে কথাও বলেন রুমির মা। মা-ছেলে কথা ও দেওয়া তথ্যে রয়েছে বেশ অমিল।

নিজের ফেসবুক পেজে পোষ্ট দিয়ে রুমি দাবি করেছেন, দ্বিতীয় স্ত্রী কামরুন নেসা তার মাকে গালাগালি করতেন, অবাধ্য ছিলেন আর মাকে মানসিক অত্যাচার করতেন।

রুমির মা নাসিমা আক্তার অবশ্য বলেছিলেন, কামরুন নেসার আরেক স্বামী আছে যিনি যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। তিনি নিয়মিত সেই স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন এবং প্রায়ই যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে তার সঙ্গে সময় কাটিয়ে আসতেন। কিন্তু বিয়ের আগে রুমির জানতেন কামরুন নেসা তালাকপ্রাপ্ত।

ছেলে বলছে মায়ের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করার জন্য আর মা বলছে আগের স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করতেন আসলে কোন কারণের জন্য কামরুন নেসাকে তালাক দিয়েছেন রুমি তা এখনো পরিস্কার হয়নি।

গত ৩১ জানুয়ারি দ্বিতীয় স্ত্রী কামরুন নেসাকেও ডিভোর্স দেন আরেফিন রুমি। গত মঙ্গলবার রুমি আইনজীবীর মাধ্যমে নেসার বাবাকে ডিভোর্স লেটার পাঠানোর বিষয়টি জানান।

২০১২ সালে কামরুন নেসা ও ছেলের সঙ্গে আমেরিকায় স্টেজ শো করতে গিয়েই দু’জনের পরিচয় হয়। এরপর প্রথম স্ত্রী অনন্যার সঙ্গে নাটকীয় ভাবে বিবাহ বিচ্ছেদ করে আমেরিকায় গিয়ে কামরুনকে বিয়ে করেন তিনি।

প্রথম স্ত্রী অনন্যাকে ডিভোর্স এবং এর দায়ে জেল-জরিমানাও ভোগ করতে হয়েছে আলোচিত এ গায়ককে।



মন্তব্য চালু নেই