ডোমারে একটি জমি নিয়ে দু্ই পক্ষের রশি টানাটানি

নীলফামারীর ডোমারে একটি প্রভাবশালী মহল এক একর দুই শতক জমি দখল করে নিয়েছে। নিজস্বার্থ হাসিলের জন্য তারা সেখানে শেখ রাসেল স্কোয়ার একাডেমিক খেলার মাঠ আখ্যায়িত করে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ রোববার রাতের আঁধারে জমি দখল করে প্রভাবশালী চক্র একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়। এ ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।

জানা গেছে, ডোমার উপজেলার অধীনে জে, এল, নম্বর ২২ এর চিকনমাটি মৌজায় এসএ তিনটি খতিয়ানে ১২৯৮/১০৫১/১০৮৭ তিনটি দাগে ২৬৫৮/২৬৫৭/২৬৫৯ পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ে মালিকানা ছিল। যা পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় নিলামের মাধ্যমে জমিটি বিক্রি করে। নিলামে জমিটি নয় লাখ ১শ টাকায় পেয়ে যায় ঢাকা সদরঘাট এলাকার মৃত হাজী মীর আব্দুর রউফের ছেলে মীর আল মামুন।

এরপর বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে পাট ও বন্ত্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আব্দুস সালাম সরকার ২০১৩ সালের ৮ ডিসেম্বর ডোমার সাব রেজিস্ট্রি অফিসে এসে কবলা মূলে দলিল সম্পাদন করে জমিটি হস্তান্তর করেন (দলিল নম্বর ৩২৬৮)। সেই থেকে জমিটির মালিকানা পেয়ে যান মীর আল মামুন।

জমির মালিকানা পেয়ে মীর আল মামুন ওই জমি থেকে ৫৮ শতক জমি পাঁচ ব্যক্তির কাছে গত দুই মাস আগে কবলা দলিলের মাধ্যমে বিক্রি করেন। যে পাঁচ ব্যক্তি পৃথক পৃথক কবলা দলিল মূলে জমি করেন তারা সেখানে অবকাঠামো নির্মাণে তাদের সীমানা নির্ধারণ করে জমি দখলে নেন। এ অবস্থায় পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী এমপির মন্ত্রীত্ব এবং সংসদ সদস্য পদ চলে যাওয়ার পর ডোমারের একটি প্রভাবশালী মহল একটি গুজব ছড়িয়ে দেয় যে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী মন্ত্রীত্ব থাকাকালীন পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের যে জমি বিক্রি করা হয়েছিল তা বাতিল করা হয়েছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ এই গুজব ছড়িয়ে দিয়ে রোববার রাতে এটি দখল করেন প্রভাবশালীরা। সেখানে শেখ রাসেল স্কোয়ার একাডেমিক খেলার মাঠ আখ্যায়িত করে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়।

এ ঘটনায় ওই জমির মালিকরা বিষয়টি জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেন ও ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিহা সুলতানাকে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এ ব্যাপারে ডোমার উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুম আহমেদের সঙ্গে মুঠোফোনে আওয়ার নিউজ বিডিকে বলেন, এলাকাবাসী মাঠটি দখলে নিয়েছে।

পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় থেকে ক্রয়কৃত জমির মালিকানার দাবিদার মীর আল মামুন বলেন, আমরা আমাদের সকল প্রমাণাদির কাগজপত্র দলিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রদান করে তদন্ত দাবি করেছি। দখলদাররা যে কথা ছড়িয়ে দিয়ে জমি দখল করেছেন তা সঠিক নয়।

ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিহা সুলতানা আওয়ার নিউজ বিডিকে বলেন, ঘটনাটির তদন্ত হচ্ছে। ২/১ দিনের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট জেলা প্রশাসকের কাছে দেয়া হবে।



মন্তব্য চালু নেই