ঢাকায় ঘুরে খুব মজা পাচ্ছি

ঈদুল আজহা শুক্রবার। তাই নাড়ির টানে গ্রামের বাড়ি গেছেন রাজধানীর বেশিরভাগ মানুষ। রাজধানী এখন ফাঁকা। আর এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন রাজধানীতে থাকা ঈদুল আজহা উদযাপনের জন্য নগরবাসী। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।

রাজধানীর রামপুরায় থাকেন মো. হামিদুল হক। তিনি এমনিতেই ঘুরতে এসেছেন রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ততম এলাকা পল্টনে। তার সঙ্গে কথা হয় রাজধানীর ঈদের আগের দিনের চিত্র নিয়ে। তিনি রাজধানীর বর্তমান চিত্রতে স্বস্তি প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার গ্রামের বাড়ি খুলনা। আমি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করি। কিন্তু ঈদের সময় খুলনা যাওয়াটা শরীরের প্রতি যে প্রেসার পড়ে, তার চেয়ে না যাওয়াই ভালো। তাছাড়া ছুটিও পেয়েছি মাত্র তিনদিন। তাই আর খুলনায় গেলাম না। তবে এখন রাজধানীতে ঘুরে খুবই মজা পাচ্ছি। তাছাড়া গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে যে অবস্থা হয়েছিল! কিন্তু আজকে বৃষ্টি নেই। গরমও খুব কম। রাজধানী ফাঁকা। ফলে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারছি। গ্রামের বাড়ি না গিয়ে ভালোই হয়েছে।’

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কথা হয় সংবাদ কর্মী আছাদুজ্জামানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘যাক আজকে ভালোই লাগছে। রাজধানী ঢাকায় কোনো জ্যাম নেই। নেই বৃষ্টি। গরমও তুলনামূলক অন্যদিনের চেয়ে কম। আজকে হুন্ডা চালিয়েও বেশ মজা পেলাম। তবে দুই মেয়েকে নিয়ে কষ্টের কথা ভেবে বাড়ি গেলাম না। তাই ভাবছি শুক্রবার ঈদের দিন আর বের হবো না। তবে ঈদের পরের দিন মেয়েদের নিয়ে প্রেসক্লাবে আসবো। যেহেতু কোনো যানজটের বালাই নেই। এমন যদি সব সময় থাকতো!’

রাজধানীর তোপখানা রোডে কথা হয় আকলিমা আক্তারের সঙ্গে। তিনি তোপখানা রোডের ২৬ নম্বরে থাকেন। তিনি মূলত গৃহকর্মীর কাজ করেন। তিনি ব্যাচেলরদের বাসায় রান্না করেন। তার সঙ্গে রাজধানী ঢাকা নিয়ে কথা হয়। বলেন, ‘আমার বাড়ি জামালপুর। জামালপুরে আমার কেউ থাকে না। ওখানে থাকে আমার চাচারা। কিন্তু তারপরও প্রতিবছর যাই। এবার আর গেলাম না। ভাবলাম ঢাকাতেই থাকি। ব্যাচেলর ছেলেরাও বাড়ি গেছে। ঢাকাও ফাঁকা। তাই এখন একটু ঘুরতে বেরিয়েছি। ঈদের দিন আর বের হবো না। এ কারণেই আজকে বের হলাম। ভালোই লাগছে। কোথাও কোনো জ্যাম নেই। লোকজন নেই। হাঁটাহাঁটি করতেও ভালো লাগছে।’ বাংলামেইল



মন্তব্য চালু নেই