ঢাকার আশপাশের কোনো জেলায় সাত মাত্রার কোনো ভূমিকম্প হলে তা হবে রাজধানী শহরটির জন্য এক বিশাল বিপর্যয়। এমনকি লোকজনকে সরিয়ে নেয়া কিংবা চিকিৎসা দেয়ার জায়গাও থাকবে না।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করছে এমন একটি সরকারি প্রকল্প ‘কমপ্রিহেনসিভ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম’-এর পরিচালক মো. আব্দুল কাইউমের বরাত দিয়ে এই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে বিবিসি অনলাইনের একটি প্রতিবেদনে।

মো. আব্দুল কাইউম জানান, তারা এই প্রকল্পের অধীনে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ নয়টি বড় শহরের ঝুঁকি নির্ণয় করেছেন।

আব্দুল কাইউম বলেন, ঢাকার পাশে মধুপুরকে একটি ভূমিকম্প ঝুঁকিপ্রবণ এলাকা মনে করা হয়। সেখানে সাত বা সাড়ে সাত মাত্রার কোনো ভূমিকম্প হলেই ঢাকার সাড়ে তিন লাখ ভবনের মধ্যে ৭০ হাজারের মতো ভবন ধসে পড়বে বা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর তাতে ২০১০ সালে হাইতির পোর্ট অ প্রিন্সে ভূমিকম্পের পর যে ধরনের ধসের চিত্র দেখা গেছে ঢাকাতেও একই ভয়াবহ অবস্থা হবে।

এ ধরনের কোনো বিপর্যয় হলে লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার কোনো জায়গা নেই ঢাকায়। হাসপাতালগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হলে মাঠপর্যায়ে অস্থায়ী চিকিৎসা কেন্দ্র তৈরিরও কোনো জায়গা থাকবে না।

ঢাকায় সম্ভাব্য কোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে সেচ্ছাসেবী তৈরি করা ছাড়া উপায় নেই বলে জানান আবদুল কাইউম। তিনি বলেন, সে রকম ৬২ হাজার সেচ্ছাসেবী তৈরি করার উদ্যোগ নেয়া হলেও তার অর্ধেকই হয়নি।

তিনি উদাহরণ হিসেবে রানা প্লাজা ধসের ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, সেখানে স্বেচ্ছাসেবীরাই অনেক উদ্ধারকাজ করেছে।