ঢাকা-গাজীপুর রুটে ঘণ্টায় ৪০ হাজার যাত্রী বহন করা হবে : সেতুমন্ত্রী

বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ঢাকা-গাজীপুর রুটে ঘণ্টায় ৪০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা যাবে বলে জানিয়েছেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে প্রকল্পটির কাজ শেষে ওই বছরের ডিসেম্বরে র‌্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি বাস চলাচল শুরু হবে।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

ঢাকা মহানগরীর সঙ্গে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের জনগণের যাতায়াত নির্বিঘ্ন, দ্রুত ও আরামপ্রদ করতে প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরে এর নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

ফলে ঢাকা থেকে গাজীপুর ও গাজীপুর থেকে ঢাকায় যাত্রীদের ভ্রমনে সময় লাগবে মাত্র ৪০ মিনিট। এর জন্য বিআরটি বাস সংখ্যা থাকবে ১৪০টি। গাজীপুর থেকে শাহজালাল (র) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর পর্যন্ত মোট ২৫টি ষ্টেশন থাকবে।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), ফরাসী দাতা সংস্থা- এএফডি, গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি (জিইএফ) এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে এ প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় দুই হাজার ৩৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে প্রকল্প সাহায্য এক হাজার ৬৫০ কোটি ৭০ লাখ এবং বাংলাদেশ সরকার অর্থায়ন করবে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘২০১২ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।’

প্রকল্পের মূল কাজের মধ্যে রয়েছে, বিআরটি করিডোর ২০ কিলোমিটার, ফ্লাইওভার ৬টি, এলিভেটেড সড়ক ৪ কিলোমিটার, সংযোগ সড়ক ১৪১টি, মার্কেট উন্নয়ন ১০টি, ষ্টর্ম ড্রেন ১২ কিলোমিটার, ৮ লেন বিশিষ্ট টঙ্গি সেতু, গাজীপুর বাস ডিপো, জয়দেবপুর বাস টার্মিনাল ও এয়ারপোর্ট বাস টার্মিনাল এবং পিপিপির ভিত্তিতে বিমানবন্দর রেলষ্টেশন এলাকায় মাল্টিমোডাল হাব নির্মাণ।

৬টি ফ্লাইওভারের মধ্যে রয়েছে, এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার ৮১৫ মিটার, জসিমউদ্দিন ফ্লাইওভার ৫৮০ মিটার, কুনিয়া ফ্লাইওভার ৫৫০ মিটার, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলোজি ফ্লাইওভার ৫৫০ মিটার, ভোগড়া ফ্লাইওভার ৫৮০ মিটার এবং জয়দেবপুর ফ্লাইওভার ২ হাজার ১৪ মিটার।



মন্তব্য চালু নেই