ঢাকা টেস্টের আগে যা বললেন আমলা

এবি ডি ভিলিয়ার্স ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার নিয়মিত অধিনায়ক। ব্যক্তিগত কারণে তিনি দেশে ফিরে যান। অধিনায়কত্বের ভার বর্তায় হাশিম আমলার কাঁধে। দক্ষিণ আফ্রিকার ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক বাংলাদেশের কাছে ওয়ানডে সিরিজে হার মানেন। এরপর দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটি বৃষ্টির কারণে ড্র হয়। আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে সিরিজের শেষ টেস্ট। বুধবার ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন প্রোটিয়া অধিনায়ক। কথা বলেন বিভিন্ন দিক নিয়ে।’

আমলা বলেন, ‘আমি মনে করি এই ম্যাচটি উভয় দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আসলে এখানে এসেছি যতগুলো সম্ভব ম্যাচে জয় পেতে। প্রথম টেস্টটি বৃষ্টির কারণে ড্র হওয়ায় এই টেস্টের উপর চাপ বাড়ছে। আশা করছি আমরা ভালো একটি সূচনা এবং জয়ের অবস্থান তৈরি করতে পারব।’

মাস্ট উইন ম্যাচ সম্পর্কে আমলা বলেন, ‘এটা মাস্ট উইন ম্যাচ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, টেস্টে কোনো নকআউট নেই। অবশ্যই আমরা এখানে জিততে এসেছি। আমরা গেল টেস্ট ম্যাচে ভালো সূচনা করেছিলাম। বিশেষ করে প্রথম দুই সেশনে। এরপর আমাদের পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা হারিয়েছি। তবে এই টেস্ট নিয়ে সবাই বেশ উদগ্রীব। বৃষ্টির বাগড়া থাকলেও আমরা ভালোই অনুশীলন করেছি। আসলে ম্যাচের আগে আবহাওয়া ভালোই মনে হচ্ছে। আশা করছি পুরো পাঁচদিনই খেলতে পারব। এখনো আমরা আমাদের পুরো শক্তি ব্যবহার করিনি। আশা করছি এই টেস্টে আমরা দারুণভাবে ফিরে আসব। ফন জিল ও এলগার দারুণ খেলছে। গেল টেস্টেও তারা ভালো খেলেছে। আমরা সত্যিই বেশ এক্সাইটেড। বোলাররাও বেশ ভালো করছে।’

উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানদের প্রশংসা করে প্রোটিয়া অধিনায়ক বলেন, ‘আমার কাছে টেস্ট ক্রিকেটের উদ্বোধনী জুটিতে ব্যাট করা সবচেয়ে কঠিন মনে হয়। কখনো কখনো আপনি ফিল্ডিং করেছেন, এর দশ মিনিট পরেই প্যাড পরে মাঠে নেমে পড়লেন। বিশ্বমানের কোনো বোলারের মুখোমুখি হলেন। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানদের প্রতি আমার পূর্ণ শ্রদ্ধা রয়েছে। আমাদের দলের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানরা বেশ ভালো করছে। তবে তাদেরকে ক্রিজে থিতু হতে সময় দিতে হবে।’

সেরা একাদশে কয়জন বোলার থাকবে সে বিষয়ে অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘আমাদের দলে ইতিমধ্যে তিনজনের অধিক পেসার রয়েছে। আমি মনে করি না ঢাকা টেস্টের সেরা একাদশে এর চেয়ে বেশি পেসার রাখা হবে। উপমহাদেশের আমাদের ভালো রেকর্ড রয়েছে। এমন কী যে উইকেটে বল বাউন্স করে না সেখানেও। আমরা সেগুলোর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারি। সুতরাং উইকেট থেকে যদি আমাদের পেসাররা সুবিধা পায়, সেটা হবে দারুণ কিছু। যদি না পায়, তাহলে উপমহাদেশে টেস্ট খেলা বেশ কঠিন। বিশেষ করে এমন গরম আবহাওয়ার মধ্যে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে আমরা কোনো ক্রিকেট খেলছি না। সে কারণে এই টেস্টের জন্য সবাই বেশ মুখিয়ে রয়েছে।

দ. আফ্রিকার টেস্ট অধিনায়ক আরো জানান, কাল মাঠ, পিচ দেখে ও মূল্যায়ন করেই সিদ্ধান্ত নেবেন এবং খেলবেন তারা। পরিস্থিতি যেমন হয় সেটার সঙ্গে খাপ খাইয়ে খেলতে চান তিনি।



মন্তব্য চালু নেই