ঢাকা-সিলেট চার লেন প্রকল্পের চুক্তি সই

ঢাকার কাঁচপুর থেকে সিলেটের তামাবিল পর্যন্ত চার লেনবিশিষ্ট মহাসড়ক নির্মাণের চুক্তি সই হয়েছে। রোববার রাজধানীর হোটেল রেডিসনে বাংলাদেশ ও চীনা প্রতিনিধিদলের উপস্থিতিতে এ চুক্তি সই হয়।

এতে যৌথভাবে স্বাক্ষর করেন সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জাকির হোসেন ও অতিরিক্ত প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান এবং চীন সরকারের অনুমোদিত চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের সভাপতি তাং শিয়াওলিং।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কাঁচপুর থেকে তামাবিল পর্যন্ত চার লেনবিশিষ্ট ২২৬ কিলোমিটারের এ মহাসড়ক বাস্তবায়নের জন্য সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকা।

অনুষ্ঠান প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ এখন রোল মডেল। আর এই উন্নয়নকে ধরে রাখতে কানেকটিভিটি বাড়াতে হবে। তারই অংশ হিসেবে আজকের এই চুক্তি সই।

তিনি বলেন, চার লেনের এই মহাসড়কে ৭০টি ব্রিজ থাকবে। এছাড়া কিছু কালভার্ট ও কয়েকটি ওভারব্রিজও থাকবে। সবকিছু মিলিয়ে এর সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হঢেছে ১৭ হাজার কোটি টাকা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কে মূল সড়কের পাশাপাশি সার্ভিস লেন না থাকায় সমস্যায় পড়তে হয়েছে। ফলে এই প্রকল্পে আমরা ধীরগতি গাড়ির জন্য আলাদা সার্ভিস লেনের ব্যবস্থা করেছি।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী ইতোমধ্যে টেকনিক্যাল ও নেগোসিয়েশনের জন্য দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যারা গবেষণা করে নির্ধারণ করবেন এই প্রকল্পে কত টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হবে।

তিনি আরো বলেন, সিলেট থেকে যে রেমিট্যান্স আসে এ প্রকল্প সম্পন্নের পর তার মাত্রা আরো বেড়ে যাবে। এছাড়াও এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে তারা বিভিন্ন খাতে বর্তমানের তুলনায় বেশি বিনিয়োগ করতে পারবে। ফলে এই প্রকল্পটি সিলেটবাসীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আগামী ৬ মাসের মধ্যে বিস্তারিত নকশা প্রণয়ন, সুদের হার নির্ধারণ, পরিশোধের প্রক্রিয়া, কমার্শিয়াল এগ্রিমেন্টসহ প্রস্তুতিমূলক কাজ শেষ করা হবে। এছাড়া ২০১৯ সালের মধ্যে প্রকল্পের সব কাজ শেষ করার কথাও জানান মন্ত্রী।

এর আগে ২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ইআরডির মতামত নিয়ে নন-বাইন্ডিং সমঝোতা স্বাক্ষর করা হয়েছিল।



মন্তব্য চালু নেই