তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা চ্যালেঞ্জ করে রিট

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করা হয়েছে।

বুধবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন। রিটে আইন সচিব, তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।

আইনজীবী শিশির মনির জানান, ৫৭ ধারাটি সংবিধানের ২৭,৩১,৩২ ও ৩৯ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় রিটটি দায়ের করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, ২৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, আইনের চোখে সকলে সমান এবং ৩৯ অনুচ্ছেদে মত প্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে।তাই ৫৭ ধারাটি এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

এর আগে বুধবার সকালে তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ও ৮৬ ধারা বাতিল চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন।

সম্প্রতি তথ্য-প্রযুক্তি আইনে সাংবাদিক প্রবীর শিকদারকে গ্রেফতারের পর ওই ধারাটি আলোচনায় আসে।

তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৫৭ (১) ধারায় বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েব সাইটে বা অন্য কোনো ইলেক্ট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যাহা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেউ পড়িলে, দেখিলে বা শুনিলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হইতে উদ্বুদ্ধ হইতে পারেন অথবা যাহার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করিতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উস্কানি প্রদান করা হয়, তাহা ইহলে তাহার এই কার্য হইবে একটি অপরাধ।

(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন অপরাধ করিলে তিনি অনধিক চৌদ্দ বৎসর এবং অন্যূন সাত বৎসর কারাদণ্ডে] এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।



মন্তব্য চালু নেই