তনু হত্যাকাণ্ড : ডিএনএ রিপোর্ট পেলেই দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন

সোহাগী জাহান তনু হত্যার তদন্তে থাকা সিআইডির কাছ থেকে ডিএনএ রিপোর্ট পাওয়ার পর তিন কার্যদিবসের মধ্যে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

বুধবার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন দ্বিতীয় ময়নাতদন্তকারী মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান ও কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. কামদা প্রসাদ সাহা।

তিনি বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে সিআইডি ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছে। আমরা ডিএনএর ওই রিপোর্ট চেয়ে সিআইডির কাছে চিঠি দিয়েছি। ডিএনএ রিপোর্ট পেলে তিন সদস্যের বোর্ড বসে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করব। এরপর সর্বোচ্চ তিন কার্যদিবসের মধ্যে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি’র কাছে দাখিল করব।’

আদালতের নির্দেশে গত ৩০ মার্চ ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য কবর থেকে তনুর লাশ উত্তোলন করে পুনরায় সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করা হয় এবং কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করা হয়। ডিএনএ রিপোর্টের জন্য কিছু নমুনা সিআইডির ঢাকার ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়। গত সোমবার সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম খান ডিএনএ রিপোর্ট নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি বলেন, ডিএনএ রিপোর্টে চারজনের প্রোফাইল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একটি তনুর এবং অপর তিনটি পৃথক তিন ব্যক্তির। ডিএনএ পরীক্ষায় তিনজন পুরুষের বীর্য পাওয়া গেছে। ডিএনএ রিপোর্ট সিআইডি পেলেও দ্বিতীয় দফায় ময়নাতদন্তের ৫০ দিন পেরিয়ে গেলেও প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি মেডিক্যাল বোর্ড।

ডিএনএ রিপোর্টে প্রাপ্ত তিন ব্যক্তির প্রোফাইল ম্যাচিংয়ে কাজ করে যাচ্ছে সিআইডি। সূত্র জানান, তনুর ডিএনএ থেকে প্রাপ্ত তিন ব্যক্তির প্রোফাইল ম্যাচিং করতে শীর্ষ সন্দেহভাজনদের তালিকা ১০ দিনের মধ্যে আদালতের অনুমতির জন্য পাঠানো হবে।

গত ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী তনুর লাশ কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকার একটি জঙ্গল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম খান সাংবাদিকদের বলেন, ডিএনএ রিপোর্ট ইতিমধ্যে গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। এতে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রদানে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এ ছাড়া রিপোর্টটি সরবরাহের জন্য মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই