তনু হত্যা: আগাম প্রতিবেদন প্রকাশ করায় সমালোচনার মুখে চিকিৎসক

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যার প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন কুমিল্লা সিআইডিতে এসেছে। মঙ্গলবার বিকেলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক গাজী ইব্রাহিম কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ থেকে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন গ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে।

কিন্তু মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডির হাতে প্রতিবেদন আসার আগেই গণমাধ্যম কর্মীদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে তা অবহিত করার কারণে চরম সমালোচনার মুখে পড়েছেন কুমেকের ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. কামাদা প্রসাদ সাহা (কেপি সাহা)। স্পর্শকাতর ওই মামলার ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আগাম গণমাধ্যমে ফাঁস করায় বিস্ময় প্রকাশ করেছে তদন্ত সংস্থা সিআইডি।

জানা যায়, সোহাগী জাহান তনুর মরদেহের প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন গত সোমবার দুপুরে ডা. কেপি সাহার নিকট দাখিল করেন ময়নাতদন্তকারী কর্মকর্তা ও ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. শারমিন সুলতানা। পরে বিকেলে ডা. কেপি সাহা তার চেম্বারে সাংবাদিক ডেকে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ‘তনুকে ধর্ষণের আলামত ও মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয়’ বলে জানান। মিডিয়ায় আগাম এ তথ্য প্রকাশ করায় চরম সমালোচনার মুখে পড়েন ডা. কেপি সাহা।

মঙ্গলবার রাতে ডা. সাহা মুঠোফোনে জানান, ‘ময়নাতদন্ত নিয়ে সোমবার মিডিয়ার সামনে কথা বলার ফলে আমি সমস্যার মধ্যে আছি, এ নিয়ে কোনো কথা বলবো না, প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন সিআইডি নিয়ে গেছে।’

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমিল্লা সিআইডির পরিদর্শক গাজী ইব্রাহিম ময়নাতদন্ত রিপোর্ট গ্রহণ করার বিষয়টি স্বীকার করলেও মামলার অগ্রগতির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। গত ৩০ মার্চ কবর থেকে তনুর মরদেহ তুলে পুনরায় দ্বিতীয় দফায় ময়নাতদন্ত করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ রাতে কলেজ ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুকে কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ বিষয়ে তার বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের কর্মচারী ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে ২১ মার্চ অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এরই মধ্যে পুলিশ ও ডিবির পর মামলার তদন্তকারী সংস্থা/কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়ে বর্তমানে এ মামলাটি সিআইডির তদন্তাধীন রয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই