সবাই মিলে ৬৩, তামিম একাই ৮৩!

তামিমের অফ ফর্ম চলছিল। মিডিয়াতে এ নিয়ে প্রচুর লেখালেখি চলছে তখন। দল থেকে কেন তাকে বাদ দেওয়া হচ্ছে না। চাচার (আকরাম খান) কারণেই বারবার সুযোগ পাচ্ছেন ইত্যাদি..। তখন একজন সাবেক ক্রিকেটার আক্ষেপ করে বলেছিলেন, তামিমকে নিয়ে মিডিয়া খুব নেতিবাচক অবস্থান নিয়েছে। তিনি আরও বলেছিলেন, এই যে বাংলাদেশ সাহসী ক্রিকেট খেলছে, সেটা তামিমের মত ওপেনারের কারণেই। এতকিছুর কিছুর পরও আমি মনে করি, তামিম বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে গুরুত্বপর্ণ সদস্য।

সাবেক ঐ ক্রিকেটার অযুক্তিক কিছু বলেননি, সেটা অনেকবারই প্রমাণ হয়েছে। ধর্মশালায় আজ নেদারল্যান্ডস ম্যাচের কথাই চিন্তা করুন, দলের রান ১৫৩, একা তামিমের ব্যাট থেকেই এল অপরাজিত ৮৩। আর সবাই মিলে করলেন ৬৩ (৭ রান অতিরিক্ত)!

পাকিস্তান সুপার লিগে দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন। তবে রান পাননি এশিয়া কাপের শেষ দুই ম্যাচে। তবে আজ ফিরেছেন নিজের চেহারায়। ডাচ বোলিং তোপে যখন সবাই আশা যাওয়ায় ব্যস্ত, তামিম তখন বুঝিয়ে দিলেন, ওদের বোলিং আহামরি কিছু নয়।

টি-২০তেসাম্প্রতিক সময়ে অনেক ভাল ইনিংসই খেলেছেন। তবে দেশের হয়ে টি-২০তে শেষবার ২০১২ সালে হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৬১ বলে করেছিলেন অপরাজিত ৮৮। ওটা তামিমের ক্যারিয়ার সেরা তো বটেই, দেশের পক্ষেও সর্বোচ্চ ইনিংস।

মনে হচ্ছিল, দেশের হয়ে প্রথম সেঞ্চুরিটা আজ পেয়েই যাবেন তামিম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হয়নি সেটা। তবে ৮৩ রানের লড়াকু ইনিংসটও কম কিসে?



মন্তব্য চালু নেই