‘তারেকের নামে চার্জশিট ভাদ্র মাসে আষাঢ়ে গল্প’

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে গাজীপুরের এক প্রত্যন্ত গ্রামে বাস পোড়ানোর মামলায় চার্জশিট দাখিলকে ‘ভাদ্র মাসে আষাঢ়ে গল্প’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে দলটি। একই সঙ্গে চার্জশিটে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটিকে অযৌক্তিক ও হাস্যকর দাবি করে এ ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করা থেকে বিরত থাকার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে বিএনপি।

গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। এ সময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্রি. জে. (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন আহমেদ, আহমেদ আজম খান, যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ নেতা উপস্থিত ছিলেন।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘গত পরশু টেলিভিশনে দেশবাসী এই ভাদ্র মাসে এক আষাঢ়ে গল্প শুনেছেন ও পত্রিকায় পড়েছেন। ক্রসফায়ারের নামে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড ঘটানোর পর যেসব গল্প বলা হয় তা যেমন দেশবাসী বিশ্বাস করে না- এই আষাঢ়ে গল্পও তেমনি কেউ বিশ্বাস করেনি। কিন্তু তারপরেও সরকারের ইচ্ছা অনুযায়ী সরকারী কর্মকর্তারা রাজনীতিকে কলুষিত, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে হেয় এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালিয়েই যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘বিরোধী রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে জিয়া পরিবারের প্রতি সরকারী বিদ্বেষ ও প্রতিহিংসার সাম্প্রতিকতম প্রকাশ ঘটেছে গাজীপুর আদালতে দাখিল করা এক কষ্টকল্পিত কাহিনীসমৃদ্ধ চার্জশিট দাখিলের মাধ্যমে।’

তারেক রহমানকে জয়দেবপুর থানার ১৮ কিলোমিটার দূরে মনিপুর খাসপাড়া এলাকায় ‘তারেক জিয়া’ মোড়ে বাস পোড়ানোর ঘটনার পরিকল্পনাকারী ও অর্থদাতা হিসাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে, জানান নজরুল ইসলাম খান।

তিনি বলেন, গত ২১ জানুয়ারি সংঘটিত ওই ঘটনায় ১৮ জনকে আসামী করে পুলিশ যে এফআইআর দাখিল করেছিল সেখানে তারেক রহমানের নাম নেই।

নজরুল ইসলাম প্রশ্ন রেখে বলেন, দেশের একটি বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলে কি করে অজ্ঞাত আসামীদের একজন হতে পারেন? তিনি বলেন, তারেক রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী বলে যার নাম উল্লেখ করা হয়েছে তিনি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের বাসিন্দা। তিনি কখনও তারেক রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী ছিলেন না, এখনও নেই। আসামীরাও বিএনপি বা কোন অঙ্গদলের পরিচিত নেতাকর্মী নন।

তিনি বলেন, গাজীপুর জেলা বিএনপির অনেক সিনিয়র নেতা, বিশ্বস্ত ও নিবেদিত নেতাকর্মী থাকতে যারা বিএনপির কোন পর্যায়ের নেতাকর্মী নন তাদেরকে বিশ্বাস করে তারেক রহমান ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হবেন- এমন হাস্যকর ও উদ্ভট চিন্তাই আসলে একটা উদ্দেশ্যমূলক ষড়যন্ত্র ও আষাঢ়ে গল্প ছাড়া আর কিছু নয়।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে পরবর্তিতে বিএনপি তার অবস্থান জানাবে।



মন্তব্য চালু নেই