বিএসএফের নির্যাতনের নয়া সংযোজন

‘তীরগুলতি’র গুলিতে চোখ হারাতে বসেছে বাংলাদেশি ছোট্ট ছেলে

গুলিবর্ষণ, মারধর, আটক ও অন্যান্য নির্যাতনের পর এবার ‘তীরগুলতি’ ছুড়ে নতুন নির্যাতনের সংযোজন করলো বিএসএফ। নির্যাতনের বহুমাত্রিক এ নয়া সংযোজনে ইতোমধ্যে এক ছোট্ট ছেলে তার চোখ হারাতে বসেছে। সীমান্তবর্তী নদীতে ছোট্ট ছেলেটির কলতানি গোসল করাটা বিপরীতপ্রান্তে থাকা নিষ্ঠুর বিএসএফ সদস্য যে সইতে পারবে না সেটা কে বুঝতো? আর তাই বিএসএফের ছোড়া ‘তীরগুলতি’র ‘কাচের গুলি’ সরাসরি বাংলাদেশি ওই ছেলেটির চোখের মনিতে আঘাত হানে, তার চোখটি-ই এখন নষ্টের পথে। ঘটনাটি ঘটেছে সাতক্ষীরার কলারোয়ার সীমান্তবর্তী কেঁড়াগাছির সোনাই নদীর তীরে।

কলারোয়া ম্যাপপ্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার কেঁড়াগাছি মসজিদ এলাকার গফফার ঘাট সংলগ্ন সীমান্ত বিভক্তকারী সোনাই নদীতে গোসল করতে নামে ওই গ্রামের আলম হোসেনের ৯বছরের পুত্র জনি হোসেন। ছেলেটি যখন নদীতে নিজের কোমরপানিতে লাফিয়ে লাফিয়ে গোসল করছিল ঠিক তখন-ই নদীর বিপরীতে অবস্থানরত ভারতীয় বিএসএফের এক সদস্য ‘তীরগুলতি’ দিয়ে ৭/৮টি ‘কাচের গুলি’ নিক্ষেপ করে। এতে জনির ডান চোখের মনিতে একটি ‘কাচেরগুলি’ সরাসরি লাগলে মারাত্মক আহতাবস্থায় তাকে সাতক্ষীরার একটি চক্ষু ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। তার ওই চোখটি নষ্টের পথে বলে স্বজনরা জানায়। একই ঘটনায় ওই এলাকার আরো এক মহিলা আহত হয়েছে। কলারোয়ার কেঁড়াগাছি সীমান্তের বিপরীতে ভারতের উত্তর ২৪পরগণা জেলার স্বরূপনগর থানার তারালী ক্যাম্পের ওই বিএসএফ সদস্যের হীনকর্মকান্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সীমান্তে বসবাসকারী বাসিন্দারা। এঘটনায় কলারোয়ার কাকডাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্প পতাকা বৈঠকের জন্য তারালী বিএসএফের ক্যাম্পের প্রতি আহবান জানিয়েছে বলে জানা গেছে।



মন্তব্য চালু নেই