তীরে এসেই তরী ডুবলো বাংলাদেশের

তীরে এসেই তরী ডুবলো বাংলাদেশের। মিরপুর স্টেডিয়ামে শুক্রবার ইংল্যান্ডের কাছে ২১ রানে হেরেছে মাশরাফির দল। যেখানে ৩১০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ২৮৮ রানেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিক বাংলাদেশ।

এদিন আবারও জ্বলে উঠে সাকিব আল হাসানের ব্যাট। এবার আরও আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলছেন তিনি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ইংলিশ পেসারদের ওপর ঝড় তুলে ৫৫ বলে করেছেন ৭৯ রান। জেক বলের শিকার পরিণত হওয়ার পর হঠাৎই ছন্দপতন হয়েছে বাংলাদেশের। তার আউটের পর পরই যে ফিরে গেছেন মোসাদ্দেক হোসেন! কিন্তু ততক্ষণে আশার প্রদীপ জালিয়ে রেখেছিলেন ইমরুল। একপ্রান্ত আগলে রেখে খেললেও অপর প্রান্তে থিতু হচ্ছেছিলেন কেউ। ফিরে যান মোসাদ্দেক (০) ও মাশরাফি (১)। তবে হঠাৎ ঝড়ে সেই প্রদীপ নিভিয়ে দেন আদিল রশিদ। উইকেট ছেড়ে খেলতে এগিয়ে আসায় তার স্টাম্প ভেঙে দেন উইকেটরক্ষক বাটলার। স্কোর যখন ২৮০ তখন রান আউট হন পেসার শফিউলও (০)। সব শেষে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তাসকিন (১)।

ওয়ানডেতে তার নামের পাশে একটি মাত্র সেঞ্চুরি ছিল এতদিন। সেই ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন ১০১ রানের ইনিংস। এর পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই ম্যাচ দিয়েই আবার তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারের দেখা পেলেন ইমরুল কায়েস। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ‘প্রিয়’ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পূরণ করলেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। তার চমৎকার ব্যাটিংয়ে সঠিক পথেই এগোচ্ছে বাংলাদেশ। যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছিলেন সাকিব আল হাসান, এই অলরাউন্ডার পেয়েছেন হাফসেঞ্চুরির দেখা।

ভালোই খেলছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ইমরুল কায়েসের সঙ্গে ৫০ রানের জুটি গড়ে এগিয়ে নিচ্ছিলেন বাংলাদেশের স্কোর। ক্রিজে সেট হয়ে গিয়ে যখন বড় ইনিংস খেলার আভাস দিচ্ছিলেন তিনি, তখনই করলেন ভুল। আদিল রশিদের ঝুলিয়ে দেওয়া বল উড়িয়ে মেরেছিলেন ডিপ মিডউইকেটে, সেখানেই ধরা পড়েন অতিরিক্ত খেলোয়াড় বিলিংসের হাতে। আউট হওয়ার আগে ২৬ বলে করেন ২৫ রান। তার আউটের পর ফিরে গেছেন মুশফিকুর রহিমও। রানখরায় ভোগা টেস্ট অধিনায়ক এবার আউট হয়েছেন ১২ রান করে।

এর আগে ডেভিড উইলির দুর্দান্ত ক্যাচে আউট হয়ে গেছেন সাব্বির রহমান। ১১ বলে তিনি করেছেন ১৮ রান। জেক বলের আগের বলেই মেরেছিলেন চার। আত্মবিশ্বাসী সাব্বির রহমান পরের বলটা উড়িয়ে মারলেন ডিপ মিডউইকেটে, বল ভাসাতে ভাসতে যাচ্ছিল সীমানার ওপারে। লাফ দিলেন উইলি, বল ধরলেন কিন্তু নিজের ভারসাম্য ধরে রাখতে পারলেন না ইংলিশ পেসার। যদিও নিজে সীমানা পেরিয়ে গেলেও তালুবন্দি করা বলটা শূন্যে ভাসিয়ে এপারে এসে আবার মুঠোবন্দি করলেন বল। তাতে দুর্দান্ত এক ক্যাচ ধরে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান ভয়ঙ্কর হয়ে উঠা সাব্বিরকে।

ইংল্যান্ড ইমরুল কায়েসের ‘প্রিয়’ প্রতিপক্ষ। প্রস্তুতি ম্যাচে সফরকারীদের বিপক্ষে সেঞ্চুরিও করেছেন এই ওপেনার। তাতে প্রথম ওয়ানডের একাদশে সুযোগ পাওয়ার জবাবটা ভালোই দিচ্ছেন তিনি। আরেক ওপেনার তামিম ইকবাল অবশ্য টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। আউট হয়ে গেছেন এই ওপেনার। অভিষিক্ত জেক বলের শিকার হওয়ার আগে নামের পাশে যোগ করেন ১৭ রান।

জিততে বাংলাদেশের দরকার ৩১০ রান। টস জেতা ইংল্যান্ড বেন স্টোকসের ১০১ রানের ইনিংসটির সঙ্গে জশ বাটলার ও বেন ডাকেটের হাফসেঞ্চুরিতে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে স্কোরে জমা করেছে ৩০৯ রান।



মন্তব্য চালু নেই