তুষারঝড়ে প্রায় অচল যুক্তরাষ্ট্র, নিহত ১০

প্রবল তুষারঝড়ে প্রায় অচল হয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি। প্রায় সাড়ে আট কোটি লোক ঝড়ের কবলে পড়তে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলি। ঝড়ের কবলে পড়ে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে নিহত হয়েছে ১০ জন।

ঝড়ের প্রচণ্ডতার কারণে ওয়াশিংটনসহ ১০টি রাজ্যে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া তুষারঝড় ৩৬ ঘণ্টা স্থায়ী হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।

কোনো কোনো এলাকা দুই ফুট তুষারের নিচে চাপা পড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এই তুষারঝড়ের মাত্রা আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে।
শনিবার সকাল পর্যন্ত তুষার ঝড়ের কবলে পড়ে ১০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে দুজন নর্থ ক্যারোলিনায় বাজে আবহাওয়ার কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে।

ওয়াশিংটন, বাল্টিমোর, ফিলাডেলফিয়া ও নিউইয়র্কে ঝড়ের প্রাবল্য বেড়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এই অঞ্চলগুলোতে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে পাঁচটি প্রধান বিমানবন্দরে যাতায়াত ব্যাহত হচ্ছে। এ কারণে শুক্রবার ও শনিবার ৬ হাজার ৩০০ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া ৪ হাজার ৬৭৫টি ফ্লাইটের যাত্রা বিলম্বিত করা হয়েছে। নর্থ ক্যারোলিনায় বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ১ লাখ ১৪ হাজারেরও বেশি বাড়ি। ওয়াশিংটনের যোগাযোগব্যবস্থা প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। যার অধিকাংশই নিউইয়র্ক ও ফিলাডেলফিয়ার বিমানবন্দরের। শুধু শুক্রবারই বিলম্বিত হয়েছে ৭ হাজার ফ্লাইট।

ভার্জিনিয়ার দক্ষিণে শুক্রবার সকাল থেকেই তুষারপাত শুরু হয়েছে। গভর্নর জেটির ম্যাকালিফ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ন্যাশনাল গার্ডের ৭০০ সদস্যকে স্ট্যান্ডবাই থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। এই রাজ্যে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত শতাধিক সড়ক দুর্ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। বাল্টিমোরে গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে শতাধিক নতুন বিছানা যোগ করা হয়েছে। মধ্য আটলান্টিক অঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপদে বাসা থেকে বের হতে আগামী কয়েক দিন থেকে এক সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগবে। নিউইয়র্কে শনিবার সকাল পর্যন্ত টানা তুষার ঝড়ে ১৮ থেকে ২৪ ইঞ্চি পর্যন্ত তুষারের স্তূপ জমে গেছে। মেয়র বিল ডি ব্লাসিও বাসিন্দাদের ব্যক্তিগত পরিবহনের পরিবর্তে গণপরিবহন ব্যবহার করার এবং যতটা সম্ভব বাসায়ই থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই