তৃণমূলে গণতন্ত্র সুসংহত করতে স্থানীয় সরকার আইন সংশোধন

তৃণমূলে গণতন্ত্র পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবে করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘সৎ উদ্দেশ্য থেকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এখন যদি কেউ এর মধ্যে অসৎ কিছু দেখে তাহলে সেটা তাদের দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার। দৃষ্টিভঙ্গি অসৎ হলে তো সৎ কাজের মধ্যেও তারা অসৎই দেখবেন।’

মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। সরকারের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির আওতায় স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও দপ্তরের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর উপলক্ষ্যে এই অনুষ্ঠনের আয়োজন করা হয়।

স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবে করার জন্য সোমবার মন্ত্রিসভায় আইন সংশোধনের অনুমোদন দেয়া হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি বলেছে, সরকারের এই সিদ্ধান্ত দূরভিসন্ধিমূলক। এর পেছনে অসৎ কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবে হলে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হবে। এখানে মারামারি বা দাঙ্গাহাঙ্গামা হবে বলে আমি মনে করি না।’

তিনি বলেন, ‘শুধু দলীয়ভাবেই নয়, নির্দলীয় তথা স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগও তো থাকছে। আমার তো মনে হয়, দলীয় প্রার্থীর চেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীই নির্বাচনে বেশি হবে।’

এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দপ্তর ও সংস্থার মধ্যে কর্মসম্পাদন চুক্তি আওতায় সমঝোতা স্মারক সইয়ের বিষয়ে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এই চুক্তি মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্পগুলোর কার্যক্রমের নজরদারি এবং জবাবদিহিতা বাড়বে। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কর্মের সুসম্পর্ক তৈরি হবে।’

তিনি বলেন, ‘আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ ছাড়সহ সবধরনের সহযোগিতা করা হবে। প্রকল্প অনুমোদন পেতে মাসের পর মাস পার করে দেয়ার সুযোগ আর থাকবে না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘মন্ত্রণালয় তাদের কাজে ব্যর্থ হলে আপনারা সফল হতে পারবে না। সমঝোতা চুক্তিকে আমি একতরফা মূল্যায়ন করবো না। মন্ত্রণালয়ে যারা কার্যক্রমগুলো তদারকির দায়িত্ব থাকবেন তাদেরও কীভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন সেটাও মূল্যায়ন হবে।’

এর আগে প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভার সদস্যদের সামনে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের উপস্থিতিতে স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের দুই সচিব বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ২৮টি দপ্তর ও সংস্থা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি সই করে। এর মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের ১৮টি এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের ১০টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙা, স্থানীয় সরকার বিভাগ সচিব আবদুল মালেক, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ সচিব এম এ কাদের সরকারসহ এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ অধিদপ্তর, সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, সংস্থা ও প্রকল্প পরিচালকরা।



মন্তব্য চালু নেই