তৃতীয় স্ত্রীকে চতুর্থবারের মত বিয়ে করলেন আলোচিত সেই গায়ক

প্রথমে বিয়ে। তারপর বিচ্ছেদ। এরপর আবারও সেই স্ত্রীকে বিয়ে করলেন! কেমন গোলমেলে ঠেকছে না? বিষয়টা ঠিক তেমনই গোলমেলে। তবে মানুষের জীবনে এমন অনেক কিছুই ঘটে যা সত্যি অদ্ভূত। ঠিক তেমন অদ্ভূত ঘটনাই ঘটেছে বিশ্বখ্যাত গায়ক ফিল কলিন্সের জীবনেও।

৬৫ বছরের এই সঙ্গীতশিল্পী সম্প্রতি আবার বিয়ে করছেন, সে-ও আবার নিজের তৃতীয় স্ত্রী ওরিয়ান কেভেকে। ৪৩ বছরের এই গয়না-ডিজাইনার সুইত্‍জারল্যান্ডের নাগরিক।

জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে তার সঙ্গে কলিন্স-এর বিয়ে হয়। এরপর ২০০৬ সালে তারা সম্পর্কে দাঁড়ি টানেন। তার দু’বছর পর আইনিভাবে বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাদের। সেই সময় এই বিবাহবিচ্ছেদ মামলা নিয়ে যথেষ্ট আলোচনাও

হয়েছিল। তার কারণ কলিন্স-কে খোরপোশ বাবদ ২৫ মিলিয়ন পাউন্ড (ভারতীয় অর্থে প্রায় ২৪০ কোটি টাকা) দিতে হয়েছিল কেভে-কে। বিবাহবিচ্ছেদ মামলায় এটি এখনও পর্যন্ত রেকর্ড পরিমাণ অর্থ খোরপোশ দেওয়া-নেওয়ার তালিকায় রয়েছে। কিন্তু সে সবই এখন পুরনো কাসুন্দি। তা নিয়ে ঘাঁটার কোনও ইচ্ছে নেই কলিন্স বা কেভে- কারওরই।

সঙ্গীতিশিল্পী সম্প্রতি নিশ্চিত করেছেন, সত্যিই তারা আবার নিজেদের বিবাহের বন্ধনটি জোরা লাগাচ্ছেন। কেভে এবং কলিন্স-এর দুই সন্তানও রয়েছে। জ্যেষ্ঠ জন ১৪ বছরের নিকোলাস এবং কনিষ্ঠ জন ১১ বছরের ম্যাথিউ। এমন এক সিদ্ধান্ত নিয়ে কেভেও খুব খুশি। এমনটাই তিনি জানিয়েছেন সাংবাদিকদের।

তিনি জানিয়েছেন, ‘এখন আমি ফিলিপকে আবার আমার স্বামী বলে ডাকতে পারব। সম্পর্ক আইনের চোখে ভেঙে গেলেও আমরা পরস্পরের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলাম। তাই আমাদের বিয়ে হচ্ছে কী, হচ্ছে না, সেটা বড় কথা নয়। তারপরেও আমরা আবার বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মনে হয়েছে আমরা নিজেদের দ্বিতীয় বার একটা সুযোগ দিই’।

কিন্তু রেকর্ড পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে সম্পর্ক ভাঙার পরেও কী করে পরস্পরের ঘনিষ্ঠ থেকে গেলেন? এমন প্রশ্নে কেভে জানিয়েছেন, ‘এর কারণ একটাই। আমাদের বাচ্চারা। ওরাই আমাদের মধ্যে সংযোগটা বাঁচিয়ে রাখত। ওদের কারণেই আমরা পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতাম। তারপর মনেও হল, ফিল-ই আমার প্রকৃত জীবনসঙ্গী।’



মন্তব্য চালু নেই