তেতো আমলকীর বিস্ময়কর যত গুণ

তিতকুটে স্বাদের ছোট ফল আমলকীকে বলা হয় পুষ্টির আধার। খুদে এই ফলটি শুধুমাত্র মানবদেহের জন্য প্রয়োজনীয় মিনারেল এবং ভিটামিন সরবরাহ করে এমন নয়, বরং পরিচিত বেশ কিছু রোগের ঘরোয়া চিকিৎসাও দেয়। কাঁচা, জুস করে, শুকনো গুঁড়া করে অথবা আচার হিসেবে যেকোনো উপায়ে খেতে পারেন আমলকী। সব ভাবেই এটি শরীরের উপকারে আসবে নিঃসন্দেহে।

দিল্লির ফিটনেস বিশেষজ্ঞ ডা. জর্জি শর্মা বলেন- মুখের ঘা, কফ এবং যে কোন ফ্লু সারাতে ঘরোয়া পদ্ধতি হিসেবে আমলকীর জুড়ি নেই। সর্দি-কাঁশি এবং কফ সারাতে দুই টেবিল চামচ আমলকি গুঁড়ার সঙ্গে সম পরিমাণ মধু মিশিয়ে খেলে সন্দেহাতীত ভাবে উপকার পাবেন। দুই টেবিল চামচ আমলকি গুঁড়া পানিতে মিশিয়ে দিনে দুবার করে গারগিল করুন। মুখের ক্ষত সারাতে এটি অব্যর্থ দাওয়াই।

নিয়মিত আমলকীর জুস পান করতে কোলস্টোরেল হ্রাস পায়। এতে বিদ্যমান অ্যামাইনো এসিড এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হার্টের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয়।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও আমলকীর ভূমিকা রয়েছে।

বিদ্যানাথের ক্লিনিকাল অপারেশন এবং কো-অরডিনেশন ম্যানেজার ডা. আশুতোষ গৌতম বলেন, ‘হজম প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করে আমলকি। যকৃতের কার্যকারিতা বাড়িয়ে শরীরকে টক্সিন মুক্ত করে। ভিটামিন সি ছাড়াও আমলকী আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাসের গুরুত্বপূর্ণ উৎস।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের চুলের গঠন ৯৯ শতাংশ প্রোটিন দিয়ে তৈরি। আমলকিতে বিদ্যমান অ্যামাইনো এসিড এবং প্রোটিন চুলের বৃদ্ধি নিশ্চিত করে। আমলকী রস তুলায় নিয়ে মুখে লাগালে এটি ব্রনের দাগ, বলিরেখা এবং মলিনতা দূর করে। এছাড়া আমলকির জুস ত্বকে অক্সিজেনের সরবরাহ নিশ্চিত করে ত্বক ক্যানসার এবং ক্ষত দূর করে।’



মন্তব্য চালু নেই