‘তোর নতুন জামা-কাপড় আমাদের সান্ত্বনা !’

রাজশাহী : আমার উপর রাগ করে রাইসা আমাকে ছেড়ে চলে গেলো না ফেরার দেশে। আমি এখন কিরবো রাইসাকে তো আর কোলে তুলে নিতে পারবো না। আমার সারা বাড়িতে বাতি হয়ে জ্বলে ছিলো। আমি জানলে পাঠাতাম না। এখন তোর নতুন জামা কাপড় আমার সান্তনা।

কেউ কী জানতো না? আমারা সোনা মনিকে আমার কছে থেকে নিয়ে যাবার জন্য কাল হয়ে বসেছিলো। রাইসকে আমি সব সময় চোখে চোখে রাখতাম। তুই আমাকে ছেড়ে চলে গেলি আমাকে নিয়ে যা, আমি কাকে নিয়ে থাকবো, আর আমাকে দাদি বলে ডাকবে এমনটি বলে চোখের জলে ভাসছিলো রাইসার দাদি ফিরোজা বেগম।

রাইসার চাচা গোলাম রাব্বানি বলেন, আমার ভাইয়ের মেয়ে ইসমত আরা রাইসা। আমাদের বাড়ির ৮ থেকে ৯ জন সদস্য নিয়ে পরিবার। আমাদের পরিবারের চেখের মনি ছেলো সে। সব সময় গোটা বাড়ি অনন্দে মাতিয়ে রাখতো।

এ ঘর থেকে ঐ ঘর, ছোটা ছোটিতে ব্যস্ত থাকতো সময়। তাকে তো আর কোন দিন পাবো না। তার জন্য কিনে নিয়ে আসা নতুন জামায় আমাদের কাছে সান্তনা।

তিনি আরো বলেন, ভাই আর ভাবি সকাল নয়টার দিকে ঈদের বাজার ও ভাবিকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে আসার কথা বলে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আসে। ঈদরে কেনা-কাটা শেষে বাড়ি আসার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে রাজশাহী নগরীর উপকন্ঠ মতিহার থানার খড়খড়ি বাইপাস এলাকায় ট্রাক ও ব্যাটারীচালিত রিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এসময় ঘটনাস্থলে মা ও মেয়ে পরে বাবা ইব্রাহীম হোসেন রামেক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। ঈদের কেনাকাটা করে বাড়ি ফেরার পথে লাশ হয়ে ফিরলো একই পরিবারের তিনজন। শুধু স্বামী স্ত্রী আর তাদের ছোট মেয়েসহ ইব্রাহীম হোসেনের স্ত্রীর পেটে থাকা ৬ মাসের বাচ্চাটিও মারা যায়। শুক্রবার দুপুরে খড়খড়ি বাইপাস এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।



মন্তব্য চালু নেই