ত্রুটিপূর্ণ লাইনের কারণেই ভারতের ট্রেন দুর্ঘটনা

ভারতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার পর পুলিশের কাছে ট্রেন চালক জানিয়েছেন, রেল লাইনের ত্রুটির কারণে ওই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। ওই চালক আরো জানিয়েছেন, প্রথমে তিনি প্রচণ্ড জোরে একটি শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন। তারপরেই ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়ে যায়।

ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ার পর ট্রেনের চাকাতে সমস্যা ছিল বলেও অভিযোগ উঠেছে। মধ্য প্রদেশের প্রকাশ শর্মা নামে ট্রেনের এক যাত্রী জানান, ওই ট্রেনের এস-২ কামরাতে করে ইন্দোর থেকে উজ্জয়িনী যাচ্ছিলেন তিনি। বহুবার ওই ট্রেনে যাতায়াত করার সুবাদে তার মনে হয়েছে, চাকায় সাধারণত যে ধরনের আওয়াজ হওয়া উচিত তা হচ্ছিল না। কোথাও কোনো গণ্ডগোল রয়েছে বলে তিনি টিকিট চেকার এবং রেল কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু তার কথায় কেউ কর্ণপাত করেনি বলে উল্লেখ করেছেন ওই যাত্রী।

এদিকে, এক রেল কর্মকর্তার দাবি, দু্র্ঘটনার সময় ট্রেনটির গতি ছিল ১১০-১২০ কিলোমিটার। দ্রুত গতির কারণেও ওই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দু্র্ঘটনায় লাইনচ্যুত হয়ে ট্রেনের ১৪টি বগি উল্টে যায়। সরকারি ভাবে মৃতের সংখ্যা ১২১ বলে জানানো হয়েছে। তবে বেসরকারি সংস্থাগুলো বলছে, মৃতের সংখ্যা দেড়শো ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে আরো দুই শতাধিক মানুষ। দুর্ঘটনার দিন ট্রেনে প্রায় ১২শ’ যাত্রী ছিল। ফলে নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

দুর্ঘটনার তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, এস-২ কামরাটি একেবারে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। রবিবার রাত পর্যন্ত ওই কামরা থেকে যাত্রীদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় ইঞ্জিন ও গার্ডের কামরার অবশ্য তেমন ক্ষতি হয়নি।

ট্রেন দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে ২ লাখ টাকা এবং গুরুতর আহতদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই