থাপ্পড় মেরে ছাত্রীর কানের পর্দা ফাটিয়ে দিলেন শিক্ষক

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার তামাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী ইমা খাতুনকে থাপ্পড় মেরে কানের পর্দা ফাটিয়ে দিয়েছেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাইদুল ইসলাম।

সোমবার দুপরে ছাত্রী ইমা খাতুনের হঠাৎ পেট ব্যথা শুরু হলে সে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে গিয়ে মৌখিকভাবে ছুটি প্রার্থনা করলে ক্ষুদ্ধ হয়ে প্রধান শিক্ষক তাকে থাপ্পড় মারে। এতে ইমা খাতুনের কান থেকে রক্ত পড়া শুরু করে।

এ ঘটনার পর তাকে প্রাথমিকভাবে বেলকুচি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে মঙ্গলবার সকালে তাকে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে ওই শিক্ষার্থীর বাবা বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

ইমা খাতুন জানান, সোমবার দুপুরে টিফিন হবার পর হঠাৎ তার পেটের ব্যথা শুরু হয়। ব্যথার তীব্রতা বাড়তে থাকায় সে প্রধান শিক্ষকের কাছে তার অসুস্থতার কথা বলে বাড়ি যাবার অনুমতি চায়। কিন্তু এ সময় প্রধান শিক্ষক সহিদুল ইসলাম আকস্মিকভাবে তাকে জোরে কানের উপর থাপ্পড় দিলে কান ফেটে রক্ত বের হতে শুরু করে।

খবর পেয়ে তার বাবা ইসমাইল হোসেন স্কুলে গিয়ে তাকে নিয়ে বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আরএমও আকরামুজ্জামান জানিয়েছেন, আঘাতের কারণে মেয়েটির কানের পর্দা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। চিকিৎসায় সে ভালো হয়ে যাবে।

এ ঘটনায় ইমার বাবা ইসমাইল হোসেন জানান, ইতোমধ্যে তিনি বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল হাসান ও বেলকুচি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম গোলাম রেজা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এ ব্যাপারে বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল হাসান জানান, অভিযোগের ব্যাপারে ইতোমধ্যেই স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি শামসুল হক খানকে প্রধান করে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৩ দিনের মধ্যে বিষয়টির তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেবার জন্য বলা হয়েছে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে পৃথক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৫ দিনের মধ্যে এই কমিটি তাদের তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবার কথা রয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক সাইদুল ইসলাম বলেন, টিফিনের পর আমি নামাজ পড়ার জন্য যাওয়ায় সময় ছাত্রীটি হঠাৎ এসে ছুটি চায়। ছুটি দিতে রাজি না হলে সে বিরক্ত করে। তাকে আমি থাপ্পড় মারবো বলে ভয় দেখাই। এসময় মেয়েটি এগিয়ে এলে দুর্ঘটনা বশত তার গালে আঘাত লেগে যায়।



মন্তব্য চালু নেই