দক্ষিণাঞ্চলে হচ্ছে চীন মৈত্রীর আরো ৩ সেতু

চীন সরকারের অর্থায়নে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ৯ম, ১০ম ও ১১তম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী নির্মাণ করা হচ্ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সুদৃঢ় করতেই রোববার (১৯ জুন) সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চীনের সঙ্গে এক সমঝোতা চুক্তিসই হয়েছে।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এর উপস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিবাগের সচিব এমএএন ছিদ্দিক এবং চীনের পক্ষে চীনা প্রতিনিধি লি গুয়াংজু চুক্তিপত্রে সই করেন।

এ সময় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিশেষ করে সড়ক-সেতু নির্মাণে চীনের অংশগ্রহণ দীর্ঘদিনের। ইতোমধে চীনের অর্থায়নে ৭টি মৈত্রী সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। ৮ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু বা বেকুটিয়া সেতু নির্মাণের বিস্তারিত নকশা প্রণয়নের গত সপ্তাহে চুক্তি সই হয়েছে।’

আজ (রোববার-১৯ জুন) আরও ৩টি মৈত্রী সেতু নির্মাণে চীন সরকার অর্থায়ন করবে। এটি কোনো ঋণ নয়। শুভেচ্ছার নিদর্শন স্বরুপ সরাসরি অনুদান। এজন্য আমি চীনের জনগণ এবং সরকারকে জানাচ্ছি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

মন্ত্রী জানান, সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী চীন সরকারের নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল বিশেষ করে পটুয়াখালী, বাগেরহাট এবং খুলনা জেলার এ তিনটি সেতু নির্মাণে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু করবে। আশা করা হচ্ছে চলতি বছরের মধ্যে সেতু ৩টির কাজ শুরু হয়ে আগামী ২০২০ সালের মধ্যে শেষ হবে বলে আশাপ্রকাশ করেন সেতুমন্ত্রী।

তিনটি সেতু সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘পটুয়াখালী জেলার ডুমকি ও বাউফল উপজেলার লোহালিয়া নদীর উপর বগা সেতু বা ৯ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু। সংযোগ সড়কসহ সেতুটির দৈর্ঘ্য ১ হাজার ২০মিটার। এরমধ্যে মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ৩৫৬ মিটার।’

বাগেরহাট জেলার মংলা উপজেলার মংলা নদীর উপর মংলা সেতু বা ১০ বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সেতু। সংযোগ সড়কসহ সেতুটির দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৫০ মিটার। এর মধ্যে মূল সেতুটি হবে ৩৭২মিটার দীর্ঘ।

খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার ঝপঝপিয়া নদীর উপর ঝপঝপিয়া সেতু বা ১১তম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু। সংযোগ সেতুটির দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৪০ মিটার। এর মধ্যে মূল সেতুটির দৈর্ঘ্য ৪৩৪ মিটার।



মন্তব্য চালু নেই