দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট এখন কারাগারে

দেশের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হওয়ায় ৪ বছর আগে ছাপা হয়েছিল তাঁর হাস্যোজ্বল ছবি৷ ৪ বছর পর দুর্নীতির অভিযোগে প্রথমে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পাক গুন-শিয়ে৷ এবার জেলে যেতে হলো তাঁকে৷

২০১২ সালের নির্বাচনে মুন জায় ইনকে হারিয়ে প্রথম নারী হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন পাক গুন-শিয়ে৷ সাবেক স্বৈর শাসক পাক চুং-হির সন্তান হিসেবে নির্বাচনি বৈতরণী পার হওয়া তাঁর জন্য কঠিনই ছিল৷ ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে সেই পর্বে উৎরে গেলেও প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদ ভালোভাবে পার করতে পারেননি৷ গত বছর ব্যাপক দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অর্থপাচারের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে৷ ডিসেম্বরে ৬৫ বছর বয়সি রাজনীতিবিদকে অভিশংসনের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয় দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় সংসদ৷ পাক গুন-শিয়ে অবশ্য শুরু থেকেই সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন৷ দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত তাতে থেমে থাকেনি৷

ইতিমধ্যে সব অভিযোগ প্রমাণের জন্য ১ লাখ ২০ হাজার পৃষ্ঠার তথ্য আদালতে পেশ করেছেন আইনজীবীরা৷ তারপর নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য পাক গুন-শিয়ে সব তথ্য-প্রমাণ ধংসের চেষ্টা করতে পারেন – এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে তাঁকে গ্রেপ্তারের আবেদনও জানানো হয়েছিল৷ শুক্রবার সৌলের সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট সেই আবেদন মঞ্জুর করে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্টকে ২০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠিয়েছে৷ শুক্রবারই তাঁকে ডিটেনশন সেন্টারে পাঠানো হয়৷ আগামী ২০ দিন সেখানেই থাকতে হবে তাঁকে৷ তারপর মুক্তি পেলেও সেই মুক্তির আনন্দ কতটা দীর্ঘ হবে, বলা মুশকিল৷ অভিযোগ প্রমাণিত হলে আবার কারাবরণের আশঙ্কা তো থাকছেই!

– ডিডাব্লিউ



মন্তব্য চালু নেই