দক্ষিণ ক্যলিফোর্নিয়ায় রোমাঞ্চকর ভ্রমণে…

দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় সারা বছরের বেশিরভাগ সময়েই থাকে গ্রীষ্মকাল। এখানকার সমূদ্রের পানি প্রাকৃতিক ভাবেই গরম হয়ে থাকে যার ফলে নানান রকম রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা নেওয়া আরও সহজ। আসুন জেনে নিই ৫টি চমৎকার জায়গার কথা যেখানে এই গ্রীষ্ম হতে পারে আরও উপভোগ্য।

হাজার ধাপের বীচ, লাগুনা
লাগুনা বিচের মধ্যে মহাসড়ক ১ এবং ৯ এর মধ্যভাগে এর অবস্থান। ধাপগুলো ধরে নীচে নেমে যান। এখানে আছে ৩০০ থেকে হাজারো ধাপ ধরে এগিয়ে যান, একবার বীচে পৌঁছে গেলে যে অপরূপ সৌন্দর্য্যের দেখা পাবেন আপনি তা হবে অতুলনীয়। ঢেউ যদি কম থাকে আপনি হেটে যেতে পারবেন একটা গুহার মধ্য দিয়ে। বিপরীত দিকে এগিয়ে গেলে দেখবেন সমূদ্রের পানি দিয়েই তৈরি হয়েছে ছোট ছোট পুল। সানন্দ্যে সাঁতার কাটতে পারেন সেখানে, আনন্দ নিতে পারেন সামুদ্রিক জীবনের।

লা জোলা সোরস, সান ডিয়েগো
এটি একটি লম্বা চমৎকার বালির বীচ। স্ক্রিপস ইন্সটিটিউট অব ওসেনোগ্রাফি পিয়ার এর আওতায় দূর্দান্ত এই বীচটি সাঁতারের জন্য খুবই জনপ্রিয়। লা জোলার উপত্যকায় আরও উপভোগ করতে পারবেন স্কুভা ডাইভিং, স্নোর কেলিং, কায়াকিং ইত্যাদি। রাতেও ক্যাম্প ফায়ার করতে পারেন বীচে। পুরও এলাকাটি শুধু ঘুরে বেড়াতেও ভাল লাগবে আপনার।

সানসেট ক্লিফস এর সামুদ্রিক গুহা, সান ডিয়াগো
ভাটার সময় সানসেট ক্লিফস এর সামুদ্রিক জীবনের রহস্যভেদ করতে বেড়িয়ে পড়তে পারেন আপনি। প্রকৃতির অদ্ভুত খেয়ালে নানান রকম আকারের গুহা তৈরি হয়েছে এখানে। সেই গুহার ছাদটাকেও গোল করে কেটেছে প্রকৃতি, সূর্য্যের এলো প্রবেশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে সূর্যাস্ত এক অবিস্মরনীয় অভিজ্ঞতা।

রেটলস্নেক ক্যানিয়ন, জোসুয়া ট্রি ন্যাশনাল পার্ক
জসুয়া ট্রি গ্রীষ্মের মাসগুলোতে ভীষণ গরম হয়ে থাকে। কিন্তু আপনি যদি অপেক্ষাকৃত শীতলতার স্পর্শ পেতে চান তাহলে যেতে পারেন রেটলস্নেক ক্যানিয়নে। গ্রীষ্মের চরম দাবদাহের মাঝেও ক্যানিয়নের পানি থাকে শীতল। এখান থেকে এগিয়ে যেতে পারেন হাইকিং করার জন্য পাথুরে প্রান্তর ধরে। দক্ষিণ এবং দক্ষিণপূর্ব দিকে এগিয়ে যেতে হবে আপনাকে। হাঁটতে হাঁটতে যতই এগোবেন পাবেন ভিন্ন ভিন্ন চমক। ম্যাপের সাহায্য নিতে পারেন আপনি। দেখতে পাবেন ঝর্ণা, বিভিন্ন অজানা প্রাণী, পাথুরেটিলা, টিলার ফাকে উদ্ভিদ!

স্টার ক্লিভল্যান্ড ন্যাশনাল ফরেস্ট, জুলিয়ান
নিকশ অন্ধকারে রাতের তারা ভরা আকাশ দেখার জন্য খ্যাত এই ন্যাশনাল ফরেস্ট। তবে সন্ধ্যার আগেই যদি পৌঁছে যান, দেখতে পাবেন অপরূপ চমৎকার একটি সূর্যাস্ত। সূর্যের উদয় আর অস্ত তো আমরা দেখি। এখানে বিশেষ ভাবে উপভোগ করতে পারেন চাঁদের উদয়াস্ত। পূর্নিমার সময় যখন চাঁদ ওঠে সেই মুহুর্তে তারেদের সম্মিলন এক মায়াবি আবহ তৈরি করে বনের ভেতর। একটা ভালো ডি এস এল আর আপনাকে দিতে পারে চমৎকার সব তারা ভরা আকাশের ছবি আর এভাবে ধরে রাখতে পারেন কখনো না ভোলার মত মুহুর্তগুলো।



মন্তব্য চালু নেই