দক্ষিণ চীন সাগরে সর্ববৃহৎ যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে জাপান

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম জাপানের নৌ-বাহিনী দক্ষিণ চীন সাগরে সর্ববৃহৎ শক্তি প্রদর্শন করতে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে দক্ষিণ চীন সাগরে জাপানের বৃহত্তম যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে টোকিও। চলতি বছরের মে থেকে তিন মাসের জন্য চীন সাগরে ওই জাহাজের সফর শুরু হবে। নির্ভরযোগ্য তিনটি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স বিশেষ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত পুরো জলসীমা নিজের বলে দাবি করে আসছে চীন। এ সাগরে দেশটির ক্রমবর্ধমান সামরিক উপস্থিতি জাপানসহ পশ্চিমা বিশ্বে ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি করেছে। সাগরে অবাধ চলাচল নিশ্চিত করতে মার্কিন নৌ ও বিমানবাহিনী নিয়মিত টহল অব্যাহত রেখেছে।

দুই বছর আগে কমিশন করা হেলিকপ্টারবাহী জাপানের যুদ্ধজাহাজ আইজুমু তিন মাসের ওই সফরে সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও শ্রীলঙ্কায় যাত্রাবিরতি করবে। পরে জুলাইয়ে ভারত মহাসাগরে অনুষ্ঠিতব্য ভারতীয় ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নৌ-জাহাজের সঙ্গে মালাবারে যৌথ মহড়ায় অংশ নেবে।

মহড়া শেষে আগস্টে দেফিরবে শে জাপানি এই যুদ্ধজাহাজ। জাপানের যুদ্ধজাহাজ দক্ষিণ চীন সাগরে পাঠানোর পরিকল্পনার সম্পর্কে অবগত একটি সূত্র বলছে, বর্ধিত মিশনে পাঠিয়ে আইজুমুর ক্ষমতা যাচাই করাই এর লক্ষ্য। দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন নৌ-বাহিনীর সঙ্গে প্রশিক্ষণে অংশ নেবে আইজুমু।

চীন সাগরে যুদ্ধাজাহাজ পাঠানোর বিষয়ে তথ্য দিলেও পরিচয় প্রকাশ করতে রাজি হয়নি ওই সূত্র। এ বিষয়ে জাপানের সামুদ্রিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক মুখপাত্র মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন।

জাহাজ চলাচলের বাণিজ্যিক রুট ও প্রচুর তেল, গ্যাস রয়েছে দক্ষিণ চীন সাগরে। এই সাগরের বেশ কিছু এলাকা নিজেদের বলে দাবি করে আসছে চীন। একই সঙ্গে এই সাগরের মালিকানা দাবি করছে তাইওয়ান, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন ও ব্রুনাই।

বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল করে এ সাগরে। ভূরাজনীতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগর ব্যবহার করে প্রতি বছর প্রায় ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যবসা হয়। জাপান এই সাগরের মালিকানা দাবি না করলেও চীনের পূর্বাঞ্চলের সামুদ্রিক একটি এলাকা নিয়ে বেইজিংয়ের সঙ্গে পৃথক বিতর্ক রয়েছে টোকিওর।

সূত্র : রয়টার্স।



মন্তব্য চালু নেই