দাউদ মার্চেন্ট ভারতে পুলিশ হেফাজতে : দ্য হিন্দু

ভারতের চলচ্চিত্র প্রযোজক গুলশান কুমার হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি আবদুর রউফ মার্চেন্ট ওরফে দাউদ মার্চেন্টকে হেফাজতে নিয়েছে মুম্বাই পুলিশ।

বৃহস্পতিবার ভারতের দ্য হিন্দু পত্রিকার অনলাইন সংস্করণের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ তাকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। পরে বিএসএফ তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

খবরে বলা হয়েছে, অনুপ্রবেশের দায়ে দাউদ মার্চেন্টকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশ। এরপর থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন। গত সপ্তাহে কারাগার থেকে ছাড়া পান। দাউদ মার্চেন্টকে দেশে ফেরাতে অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলেছে ভারত। ভারতের শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ দাউদ মার্চেন্টকে মেঘালয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে তুলে দেয়।

পুলিশের যুগ্ম কমিশনার সঞ্জয় সাক্সেনা দ্য হিন্দুকে বলেন, ‘দাউদ মার্চেন্টকে জিজ্ঞাসাবাদের পরই বিএসএফ জানতে পারে যে তিনি মুম্বাইয়ে গুলশান কুমার হত্যা মামলার আসামি এবং এ মামলায় কারাবাসের সময় প্যারোলে মুক্তি পেয়ে লাপাত্তা হয়ে যান। দাউদ মার্চেন্টকে বৃহস্পতিবার সকালেই মুম্বাই নিয়ে সেখান উচ্চ আদালতে হাজির করা হয়।

তিনি বলেন, হাইকোর্ট শুক্রবার (আজ) তাকে দায়রা আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, দাউদ মার্চেন্ট ২০০৯ সালের ২৯ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর থেকে প্রথম গ্রেপ্তার হন। এরপর অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করায় পাসপোর্ট আইনের মামলায় তাকে আদালতে হাজির করা হলে সিএমএম আদালত দুই দফায় ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওই মামলায় সে বছরই তার জামিন হয়। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ফের ৫৪ ধারায় কারাফটক থেকে গ্রেপ্তার করে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। আবার জামিন হওয়ার পর ২০১২ সালে কারাগার থেকে বের হলে আবার কারাফটক থেকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করে পুনরায় আদালতে পাঠানো হয়। এরপর কারাগারে থাকা অবস্থায় সিএমএম আদালত ৫৪ ধারায় ওই মামলায় জামিন মঞ্জুর করলে ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর কারাফটক থেকে বের হয়ে ৫৪ ধারায় ফের আটক হয়ে কারাগারে যান দাউদ মার্চেন্ট।

১৯৯৭ সালের ১২ আগস্ট ভারতের মুম্বাইয়ে সংগীত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টি-সিরিজের মালিক গুলশান কুমারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই মামলায় ২০০২ সালে ভারতীয় আদালত দাউদ মার্চেন্টকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।



মন্তব্য চালু নেই