দার্জিলিংয়ে ভূমিধসে নিহত ২১

পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং পাহাড়ে ভূমিধসে এখনও পর্যন্ত ২১ জন মারা গেছেন বলে সেখানকার প্রশাসন জানিয়েছে। অন্যান্য কয়েকটি সূত্র অবশ্য মৃতের সংখ্যা ২৭ বলে জানিয়েছে।

এখনও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন, তাই প্রশাসনের আশঙ্কা মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। পাহাড়ে কয়েক হাজার পর্যটক আটকে পড়েছেন। সিকিমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। দার্জিলিং পাহাড়ে গত কয়েকদিন ধরে একটানা বৃষ্টির ফলেই এই ধস নেমেছে।

জেলা প্রশাসন বলছে, মিরিকে ১৬ আর কালিম্পংয়ে ৫ জন মারা গেছেন। এই দুটি জায়গাই জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।
এছাড়াও রম্ভি, কালিপোখরি, সুখিয়াপোখরি, গরুবাথান থেকেও ধসের খবর পাওয়া গেছে।

ভারত চীন সীমান্তের নাথু লা ও সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকের সঙ্গে দেশের অন্যান্য অংশের যোগাযোগরক্ষাকারী মূল রাস্তা –১০ নম্বর জাতীয় মহাসড়ক বন্ধ হয়ে গেছে।

সেনাবাহিনীর অধীন বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন ওই রাস্তার ধস সরানোর কাজ করছে। অন্যদিকে দার্জিলিংয়ে উদ্ধার আর ত্রাণের কাজে সেনাবাহিনীকে তলব করা হয়েছে।

ভারত নেপাল আর ভারত-ভুটান সীমান্ত পাহারা দেয় যে বাহিনী, সেই সশস্ত্র সীমা বল বা এস এস বি-ও যোগ দিয়েছে উদ্ধার কাজে।

জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দল দার্জিলিংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী জানিয়েছেন, তিনি নিজেই আজ রওনা হচ্ছেন দার্জিলিংয়ে উদ্ধারকাজ তদারক করতে আর তিনি যাওয়ার আগেই স্বরাষ্ট্র সচিব বাসুদেব ব্যানার্জীকে সেখানে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

পাহাড়ে একনাগাড়ে বৃষ্টির ফলে তিস্তা আর জলঢাকা নদীগুলিতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলায়।

তিস্তার ওপরে গাজলডোবা ব্যারাজ থেকে প্রায় পাঁচ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে।– বিবিসি



মন্তব্য চালু নেই