দাসিয়ারছড়ায় জাতীয় পরিচয় পত্র প্রদানে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ছবি ও আঙ্গুলের ছাপ গ্রহনের উদ্ধোধন

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: গতকাল রোববার কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর অধুনালুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ায় আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পরিচয় পত্র প্রদানের জন্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ছবি ও আঙ্গুলের ছাপ গ্রহন কাজের উদ্ভোধন করেছেন কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক খান মোঃ নুরুল আমিন ।

উপজেলা নির্বাচন অফিস জানায়, গত ১০ জুলাই দাসিয়ারছড়াসহ বিলুপ্ত ১১১টি ছিটমহলে বাড়ী বাড়ী গিয়ে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিয়োগকৃত তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপার ভাইজারগন ভোটার হওয়ার যোগ্য ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ শেষে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ছবি ও আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে ভোটার তালিকার অন্তর্ভূক্ত করার কাজ শুরু করে। গত ৭ দিনে তথ্য সংগ্রহ শেষে দাসিয়ারছড়ায় ভোটার হওয়ার যোগ্য হয়েছেন নারী পুরুষ মিলে ২ হাজার ৭২৭ জন। এর মধ্যে ১ হাজার ২৮৯ পুরুষ ও ১ হাজার ৪৩৯ জন নারী।

দাসিয়ারছড়ার দোলাটারী গ্রামের মো. দেলোয়ার হোসেনের কলেজ পড়–য়া মেয়ে মোছাঃ দিলরুবা আক্তার জানায়, এখানে কোন স্কুল কলেজ না থাকায় পরিচয় গোপন করে লালমনিরহাট মজিদা ডিগ্রী কলেজে পড়ালেখা করতে হচ্ছে। এখন আর পরিচয় গোপন করার প্রয়োজন নেই। আমিতো এখন পরিচয় পত্র পাচ্ছি। আমার যে কি আনন্দ লাগছে বুঝাতে পারবো না।

একই কথা জানালেন বানিয়াটারীর কুড়িগ্রাম সরকারী কলেজে অর্নাস পড়–য়া নজরুল ইসলামের ছেলে তুহিন ইসলাম। বয়বৃদ্ধা মৃত মেহের আলীর স্ত্রী জয়নব বেওয়া জানান, আমি কোনদিনও ভোট দিতে পারিনি। এবারে আমার পরিচয় পত্র দিয়ে ভোট দিতে পারবো এর চেয়ে আর কি অহংকার আছে। আমরাতো ৬৮ বছর অন্ধকারে ছিলাম। এখন আলোর পথে চলছি।

কালিরহাটের শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মারদ্রার উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক খান মোঃ নুরুল আমিন জানান, যারা তথ্য গোপন করে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার ও ম্যাজিষ্ট্রেট মো. নবী নেওয়াজ, জেলা নির্বাাচন কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্ত আব্দুল কুদ্দুস সরকার, বিলুপ্ত ছিটমহল আন্দোলনের নেতা গোলাম মোস্তফা খান, মো. আলতাফ হোসেন, নুর আলম মাষ্টার প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই