দিল্লিতে গাড়ির জোড়-বিজোড় পদ্ধতি চালু

পরিবেশ দূষণ কমাতে দিল্লিতে চলাচলকারী গাড়ির ক্ষেত্রে জোড়-বিজোড় নীতি চালু হলো। অর্থাৎ দিল্লির রাস্তায় একদিন শুধু জোড় নম্বরের গাড়ি চলবে আর পরেরদিন শুধু বিজোড় নম্বরের গাড়ি চলবে।

আজ দিল্লির রাস্তায় নেমেছে বিজোড় সংখ্যার গাড়ি। একইভাবে আগামীকাল জোড় সংখ্যার গাড়ি চলবে দিল্লির রাজপথে। সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই নিয়ম বজায় থাকবে। অগ্রাহ্য করলে ২ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা হতে পারে নিয়মভঙ্গকারীর। এদিকে, নীতি প্রণয়নের প্রথম দিনেই উদ্যোগের প্রতি ভালো সাড়া মিলেছে বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

তবে এই নিয়মের আওতার বাইরে থাকছে অ্যাম্বুল্যান্স, মহিলাচালিত গাড়ি, ভিআইপি, সিএনজি গাড়ি ও বাইক। এদিকে, গতকাল পরীক্ষামূলকভাবে জোড়-বিজোড় নীতি প্রয়োগ করে দিল্লি সরকার।

জনগনের উদ্দেশ্যে নিয়ম পালনের বার্তা দিতে টিম কেজরিওয়াল ‘আপনি আচরি ধর্ম পরেরে শিখায়’ নীতি অনুসরণ করছে। দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীষ সিসোদিয়ার আর্জি, শহরের স্বার্থে সর্বদা নিজের গাড়ি ব্যবহারের চিন্তা বন্ধ করুন। দিল্লির পর্যটনমন্ত্রী কপিল মিশ্র এদিন বাইকে চড়ে অফিসে পৌঁছেছেন। অফিসে পৌঁছে জোড়-বিজোড় নীতিকে সফল করার জন্য তিনি দিল্লিবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী সহ মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরা অফিসে পৌঁছতে কারপুল ব্যবহার করছেন। মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির নম্বর বিজোড়। নিয়মানুযায়ী, আজ তাঁর গাড়ি পথে নামতে পারে। মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি আজ ব্যবহার করবেন পরিবহণমন্ত্রী গোপাল রাই এবং পূর্তমন্ত্রী সত্যেন্দর জৈন। অন্যদিকে, পরিবেশমন্ত্রী ইমরান হোসেন ও সমাজ কল্যাণমন্ত্রী সন্দীপ কুমার দিল্লির সচিবালয়ে বাস বা অটো চড়ে আসবেন।

উপমুখ্যমন্ত্রী সিসোদিয়ার গাড়ির নম্বর বিজোড়। তিনি জানিয়েছেন, যে দিন বিজোড় নম্বরের গাড়ি ব্যবহার করা যাবে না, সেই দিনগুলিতে তিনি সাইকেল চালিয়ে অফিসে আসবেন।

যাতায়াতে যাতে অসুবিধা না হয় সে জন্য অতিরিক্ত ৩০০০ বাসের বন্দোবস্ত করেছে দিল্লি সরকার। গাড়ি নিয়ন্ত্রণের সময় মেট্রো রেলও ৭০ টি বেশি ট্রেন চালাবে।



মন্তব্য চালু নেই