দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিন খান এই একটি খাবার

যতদিন জীবন রয়েছে সকলেই চান সুস্থ ও সবল দেহে বেঁচে থাকতে। আর সুস্থ সবল দেহের অধিকারীরা জীবনের অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রেও সফলতা অর্জন করে থাকেন। এই সফলতাই তাদের জীবনের আশ্বাস দিয়ে থাকেন। আর একারণেই দীর্ঘায়ু কামনা করেন অনেকেই। মূলত দীর্ঘায়ু হতে এবং সুস্থ থাকতে চান প্রত্যেকেই। কিন্তু নিজেদের ভুলেই আমরা তা পারি না। আর যদি সত্যিই হতে চান দীর্ঘায়ু এবং পেতে চান সুস্থ জীবন তাহলে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যোগ করুন খুবই সাধারণ এই খাবারটি।

দীর্ঘায়ু ও সুস্থ জীবন নিশ্চিতকারী এই সহজলভ্য খাবারটি আর কিছুই নয় বাদাম। বাদাম খুবই পরিচিত একটি খাবার। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় মাত্র ১ মুঠো বাদাম রাখলে আপনি নিজেকে রাখতে পারবেন সুস্থ সবল এবং হতে পারেন দীর্ঘজীবী।

প্রায় ১,২০,০০০ মানুষের উপর গবেষণা চালানো হয় এবং তা থেকেই ‘দ্য নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিন’ এ প্রকাশিত হয় যে, প্রতিদিন বাদাম খেলে ২০% পর্যন্ত মৃত্যু ঝুঁকি কমে। গবেষকগন নিশ্চিত করছেন যারা প্রতিদিন বাদাম খান তারা অন্যান্যদের তুলনায় হার্টের সমস্যা, শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা এবং ক্যান্সারে কম আক্রান্ত হন। গবেষণায় দেখা গেছে, বাদামে বিদ্যমান অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ পদার্থ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহ হার্ট, ক্যান্সার ও অন্যান্য প্রদাহজনিত রোগের প্রতিরক্ষাকারী হিসেবে কাজ করে। যদিও বিভিন্ন বাদাম বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধকারী হিসেবে কাজ করে থাকে, কিন্তু রোগ প্রতিরোধক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহ প্রায় সব বাদামের ভেতরেই থাকে এবং এরা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

বাদাম কেন দীর্ঘায়ু ও সুস্থ জীবন নিশ্চিত করে?

– বাদামে বিদ্যমান এল-আরজিনিন অ্যামিনো অ্যাসিডটি ধমনীতে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং ধমনীকে নমনীয় করতে সহায়তা করে। বাদামের এল-আরজিনিন ধমনীতে প্রবাহিত রক্তকে জমাট বাঁধতে বাঁধা প্রদান করে।

– সবচাইতে সহজলভ্য ও প্রধান উদ্ভিজ্জ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎস বাদাম।

– প্রতিদিন মাত্র ১ মুঠো বাদাম শরীরে এই ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন ই এর ঘাটতি কমায় ও হার্টের সমস্যা জনিত রোগ থেকে হৃদপিণ্ডকে সুরক্ষিত রাখে ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।

– বাদামের ফাইবার রক্তের গ্লুকোজের পরিমান কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী। এই ফাইবার ডায়বেটিসের হাত থেকে রক্ষা করার ক্ষমতা রাখে।

– পেস্তা বাদাম ফুসফুসে ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে। পেস্তা বাদামের ভিটামিন ই এই মারাত্মক রোগটি দেহে বাসা বাঁধতে বাঁধা প্রদান করে।

– বাদামে রয়েছে ভিটামিন ই। ভিটামিন ই ধমনীতে প্লাক হওয়া প্রতিরোধ করে ও প্লাক কমাতে সাহায্য করে। ধমনীতে প্লাকের কারনে বুকে ব্যথা, করোনারি আর্টারি ডিজিজ বা হার্ট অ্যাটাক হতে পারে যা বাদামের ভিটামিন ই দূর করতে সক্ষম।

– বাদামের প্রোটিন, ভালো ফ্যাট এবং ফাইবার আপনার ওজন কমাতে বিশেষ ভাবে সহায়ক। বিশেষ করে কাঠবাদাম ও চীনাবাদাম।

– বাদামের অসম্পৃক্ত চর্বি বা ফ্যাট, ফাইবার ও প্ল্যান্ট স্টেরোল খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। যারা উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যায় আক্রান্ত তাদের জন্য বাদাম অনেক কার্যকরী একটি ওষুধ।

– বাদামের ফাইবার আমাদের হজমক্রিয়া ত্বরান্বিত করে থাকে। এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়।

প্রতিদিন যেভাবে খাবেন বাদাম

– ১ মুঠো বাদাম সকালের নাস্তার পর না বিকেলে অস্বাস্থ্যকর নাস্তার পরিবর্তে খেতে পারেন।

– খাবারে বা বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন বাদাম

– সালাদের স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করতে পারেন বাদাম

– বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর ডেজার্টে বাদাম কুচি ব্যবহার করুন

সূত্র: 1mhealthtips ও collectivewizdom



মন্তব্য চালু নেই