দুর্ঘটনার জন্য ইরানি হাজিরা দায়ী!

সৌদি আরবের মিনায় শয়তানকে উদ্দেশ করে পাথর নিক্ষেপের সময় পদদলিত হয়ে ৭ শতাধিক হাজির মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো ৯শ ৩৪ জন। ওই দুর্ঘটনার জন্য ইরানের ৩শ হাজিকে দায়ী করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় দৈনিক আশারক আল আসওয়াত এর বরাত দিয়ে সৌদি গেজেট রোববার এ তথ্য জানিয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বৃহস্পতিবারের দুর্ঘটনা সম্পর্কে জানিয়েছেন, পাথর নিক্ষেপের জন্য মুজদালিফা থেকে বৃহস্পতিবার সকালে জামারাতে যাওয়ার আগে থেকেই ইরানি হাজিরা হজের বিভিন্ন নির্দেশনা অমান্য করতে থাকেন। এজন্য হাজিদেরকে তাদের জিনিসপত্র নিয়ে মুজদালিফায় না গিয়ে তাদের তাঁবুতে যেতে বলা হয়েছিল। তাদেরকে নিজেদের তাঁবুতে গিয়ে বিশ্রাম নিতে বলা হয়েছিল এবং জামারাতে শয়তানের উদ্দেশে পাথর ছুড়তে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল।

হাজিরা নির্দেশনা না মেনে তাদের তাঁবু থেকে বেরিয়ে আসেন। তারা জামারাত থেকে বেরিয়ে আসার জন্য ব্যবহৃত ২০৪ নম্বর সড়ক দিয়ে প্রবেশ করতে শুরু করেন। এক দিকে হাজিরা ওই পথ দিয়ে বের হচ্ছেন অপরদিকে ইরানি হাজিরা ওই পথ দিয়ে প্রবেশ করছিলেন বলে জানিয়েছে কর্মকর্তারা। বিপরীতমুখি জনস্রোতের কারণেই অনেক হাজি পদদলিত হয়ে নিহত হয়েছেন। তাই ওই দুর্ঘটনা ইরানি হাজিদের জন্যই হয়েছে বলে দাবি করছেন সৌদি কর্মকর্তারা।

সূত্র অনুযায়ী, হজ করার সময় হাজিদের সব ধরনের নিয়ম কানুন মেনে চলা বাধ্যতামূলক হওয়া সত্ত্বেও প্রায় ৩শ ইরানি হাজি সেসব নিয়ম মানেননি। জামারাতে যাওয়ার পথে টানেলে যে ক্যামেরা বসানো আছে তার ভিডিও ফুটেজ দেখলেই ইরানি হাজিদের নিয়মভঙ্গের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।



মন্তব্য চালু নেই