দুর্নীতি রুখতে অনলাইনে উপবৃত্তি

সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অধ্যয়নরত দরিদ্র শিক্ষার্থীদের অনলাইনে উপবৃত্তি দিতে নতুন সফটওয়্যারের উদ্বোধন করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

বুধবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এ সফটওয়্যারের উদ্বোধন করেন তিনি।

উপবৃত্তির জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচন এবং উপবৃত্তির টাকা নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়ম ও দীর্ঘসূত্রতার অভিযোগ ছিল। নতুন উদ্ভাবিত প্রযুক্তি এসব সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন শিক্ষামন্ত্রী।

যোগ্য শিক্ষার্থী নির্বাচনের লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, ‘নতুন উদ্ভাবিত এ পদ্ধতিতে উপবৃত্তি পেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা নিজেরাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অনলাইনে নির্ধারিত ফরম পূরণ করবে এবং তাদের আবেদন যাচাই করে উপবৃত্তির জন্য নির্বাচন করা হবে।’

শিক্ষামন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থল থেকে সারা দেশে ৭ হাজার কলেজ ও মাদরাসার ৫ লাখ ২৫ হাজার ৬৮৬ জন শিক্ষার্থীর মোবাইল অ্যাকাউন্টে উচ্চ মাধ্যমিক উপবৃত্তি প্রকল্পের চলতি অর্থবছরের ১৪৫ কোটি ৯৩ লাখ ৩৯ হাজার টাকা পাঠান। উপকারভোগীদের ৪০ শতাংশ ছাত্রী এবং ১০ শতাংশ ছাত্র।

অনুষ্ঠান থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নতুন উদ্ভাবিত সফটওয়্যারের সাহায্যে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের উপবৃত্তি প্রদানের জন্য মেহেরপুরের মুজিবনগর সরকারি কলেজ, সিলেটের মদনমোহন কলেজ এবং পিরোজপুর সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রত্যক্ষ করেন শিক্ষামন্ত্রী।

তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলায় উপকারভোগী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং উপবৃত্তির অর্থ তাৎক্ষণিকভাবে প্রাপ্তির বিষয়ে নিশ্চিত হন।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, বাংলাদেশের শিক্ষার উন্নয়নে উপবৃত্তি ও বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কর্মসূচি জাতীয় উন্নয়নে সেরা বিনিয়োগ হিসেবে সারা বিশ্বের প্রশংসা অর্জন করেছে। শিক্ষাক্ষেত্রে দেশের সাফল্য অব্যাহত রাখতে এ ধরনের শিক্ষামুখী কর্মসূচি সর্বোচ্চ সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষক, কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, গত বছর থেকে শিক্ষার্থীদের মোবাইল অ্যাকাউন্টে উপবৃত্তির অর্থ পাঠানো হচ্ছে।

প্রকল্প পরিচালক শ্যামা প্রসাদ ব্যাপারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিক্ষা সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন, অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. সৈয়দ আবদুল হামিদ এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংকের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদ বক্তব্য দেন।



মন্তব্য চালু নেই