দূর্বৃত্তদের হামলায় দুই সন্তানসহ পিতা আহত, মামলা তুলে নিতে হুমকী

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার শোনপঁচা দানেজ ফকিরের ডাঙ্গী গ্রামের মৃত. হাজী জামাল উদ্দিন মুন্সীর পুত্র মো: ইদ্রিস আলী (৫২) ও তার মেয়ে সামসুন্নাহার মুন্নি এবং মো: জাবেরকে (২২) পিটিয়ে ও এলোপাথারিভাবে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়। আহত ওই পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। এদিকে এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর বেপরোয়া হয়ে উঠেছে হামলাকারীরা। তারা মামলা তুলে নিতে হুমকী দিচ্ছে বলে অভিযোগ বাদীর।

আহত ইদ্রিস আলী জানান, গত ২২ আগষ্ঠ সন্ধ্যায় দুই সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে ফেরার সময় পথিমধ্যে পৌছালে পূর্বে থেকে ওৎ পেতে থাকা গিয়াস উদ্দিন মোল্লা, মাসুদ মোল্লা, সামসুদ্দিন মোল্লা, মো: রানা, মো: শাহীন ওরফে দিদার, আনোয়ার হোসেন ও বিল্লাল হোসেনসহ আরো কয়েকজন অতর্কিতে হামলা চালিয়ে নির্বিচারে কোপ ও পেটাতে থাকে।

তিনি আরো জানান, দূর্বৃত্তরা পিটিয়ে ও কুপিয়ে তার (ইদ্রিস আলীর) দুই পা ভেঙ্গে ফেলে। কোপে জখম হয় চোখের পার্শ্বসহ দুই পা ও শরীরের বিভিন্নস্থানে। তাকে (বাবাকে) বাঁচাতে গিয়ে বেধড়ক পিটুনির শিকার হয় কলেজ ছাত্রী শামসুন্নাহারও। পিটুনি ঠেকাতে গিয়ে ভেঙ্গে যায় হাতের দুটি আঙ্গুল। ক্ষতের সৃষ্টি হয় শরীরের বিভিন্নস্থানে। এছাড়া ছেলে জাবের মুন্সীও মারাত্মক আহত হয় পিটুনি খেয়ে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

ইদ্রিস আলীর মেয়ে আহত সামসুন্নাহার মুন্নি জানান, হামলার এক পর্যায়ে হামলাকারীরা স্বর্ণালংকার, মোবাইল ও সঙ্গে থাকা টাকাপয়সাও ছিনিয়ে নেয়।

এদিকে এঘটনার ১০ দিনের মাথায় ইদ্রিস আলীর ভাই মো: আব্দুল হাই বাদী হয়ে সদরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় হামলাকারীদের আসামী করা হয়। বাদীর দাবী, অদ্যবদি পুলিশ আসামী গ্রেফতারে কোন উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রাখতে পারেনি। বরং পুলিশের শিথিলতার সুযোগ নিয়ে বিবাদীপক্ষের লোকজন মামলা তুরে নিতে চাপ দিচ্ছে এমনকি মামলা তুলে না নিলে ফের হামলার হুমকী দিচ্ছে। হামলার শংকায় বাড়ি থেকে বের হতে পারছেননা তিনি (বাদী)।

ইদ্রিস আলীর আহত পুত্র মো: জাবের জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের কারণে পুর্বে থেকেই আসামী পক্ষের লোকজর ক্ষিপ্ত ছিল। সম্প্রতি আসামীদের বিরুদ্ধে সাত ধারার আইনে মামলা দায়ের করা হলে আসামীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা চালাতে পারে।

এ প্রসঙ্গে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা মিললেও ঘটনাস্থলের আশেপাশের বসবাসকারীরা সম্ভবত হামলাকারীদের প্রভাবের আতংকে সাক্ষী দিতে চাচ্ছেনা। তিনি বলেন, আসামীদের গ্রেফতারে আমরা সর্বোচ্চ সচেষ্ট রয়েছি।



মন্তব্য চালু নেই