রাবিতে ফজলে হোসেন বাদশা :

দেশকে ‘জিরো টলারেন্স’ করতে হলে আগে জনগণকে ‘জিরো টলারেন্স’ করতে হবে”

ইয়াজিম ইসলাম পলাশ, রাবি প্রতিনিধি : দেশকে ‘জিরো টলারেন্স’ করতে হলে আগে জনগণকে জিরো টলারেন্স করতে হবে।” শনিবার সকাল ১১টায় শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষাথী কর্তৃক আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন রাজশাহী সদর আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সহ বিভিন্ন বিভাগের দেড় হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেয়।

এসময় ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, শোককে শক্তিতে পরিণত করতে হবে। এটাই যেন শেষ হত্যাকা- হয়। এ হত্যাকা-ের বিচারের দাবিতে রাজশাহীসহ সারা দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবেই দেশকে জঙ্গিমুক্ত করতে হবে।

দেশের প্রশাসনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “পূর্বে বিভিন্ন হত্যাকা- হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের তদন্তের দীর্ঘসূত্রিতা হত্যাকা-সমূহ মন থেকে মুছে দেয়ার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। শত্রুর দিকে তাকিয়ে কথা বলুন। না পারলে বাংলাদেশের দায়িত্ব নিয়ে চলার অধিকার নেই। দেশকে ‘জিরো টলারেন্স’ করতে হলে আগে জনগণকে জিরো টলারেন্স করতে হবে।”

মানববন্ধন শেষে ফজলে হোসেন বাদশা রাবি উপাচার্যের সাথে এক মতবিনিময় সভা করেন।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহ্ আজম শান্তনু’র সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা এখানে কাঁদতে আসেনি। শোক প্রকাশ করতে আসেনি। রেজাউল করিম সিদ্দিকী যে আদর্শ ধারণ করতো সেই আদর্শকে হত্যা করে বন্ধ করা যাবে না। আমরা শোককে শক্তিতে পরিণত করে এ হত্যাকা-ের বিচার না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাবো না।

মানববন্ধন থেকে জানানো হয় ২ মে সারাদেশে সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করা হবে। ৩মে সকাল ১১টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে মহাসমাবেশ হবে। আর এ মহাসমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিত হওয়ার জন্য আহ্বান করা হয়।

এদিকে অধ্যাপক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকীর হত্যাকা-ের ৮ম দিনেও ক্যাাম্পাসে মানবন্ধন, অবস্থান সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে । শনিবার সকাল ১০টায় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শহীদুল্লাহ্ কলা ভবনের সামনে মুকুল প্রতিবাদ ও সংহতি মঞ্চে এসে সমবেত হয়। পরে সেখানে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে।

এর আগে শনিবার সকাল থেকে বাংলা বিভাগ, অর্থনীতি বিভাগ, পরিসংখ্যান বিভাগ, ইনফরমেশন সায়েন্স এ্যান্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, লোক প্রশাসন বিভাগ, ভাষা বিভাগ, আইন বিভাগ, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিউট বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ ব্যানারে ক্যাম্পাসের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে।

প্রসঙ্গত, গত ২৩ এপ্রিল শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাবির ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক দুর্বৃত্তরা গলা কেটে হত্যা করে। সকালে বাসা থেকে বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পথে রাজশাহীর শালবাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।



মন্তব্য চালু নেই