দেশের বাহিরে গেলেই এস্থেমা থেকে মুক্তি!

মানুষের স্বাস্থ্যের উপর অবশ্যই আবহাওয়ার প্রচুর পরিমাণে প্রভাব বিদ্যামান। বিভিন্ন দেশের জলবায়ুর সাথে খাপ মিলিয়ে মানুষের শারীরিক গঠন, উচ্চতা, রং ইত্যাদিতে পার্থক্য দেখা যায়। খারাপ আবহাওয়ার দরুন মানুষের সমস্যার যেখানে অভাব হয় না, ঠিক তেমনি ভাল আবহাওয়ার কারণে দেহ ও মনে শান্তি বিরাজ করে।
আইরিন পারভিন নামের একজন বাংলাদেশী যখনি বাংলাদেশের বাহিরে ভ্রমণে যায় তখনি তার এস্থেমার কোন সমস্যা থাকে না। ঠাণ্ডাজনিত এই সমস্যার প্রধান কারণ দূষিত জলবায়ু। এতে হাঁপানি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যাও বিদ্যামান। বিভিন্ন সময় এজন্য তাদের ইনহেলার ব্যবহার করতে হয়।
আইরিন বলেন, ‘আমি অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে পড়াশোনা করেছি। আমি মানিটোবা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অতিথি প্রফেসর হিসেবেও গিয়েছিলাম। উইনিপিগে থাকার সময়ও আমার একবারের জন্যও ইনহেলার ব্যবহার করতে হয় নি।’ পারভিন ২০০৮ সালে ৬ মাস মানিটোবায় বসবাস করেন। তখন তিনি বাংলাদেশে এসে তার স্বামীকে কানাডায় বসবাসের জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
আইরিন আরও জানান, ‘বাংলাদেশের নাগরিকেরা জানেন না, বাংলাদেশের আবহাওয়া কতটা খারাপ। কারণ তারা বাহিরের দেশের আবহাওয়ার সাথে পরিচিত নন।’ আইরিন ২০১০ সালে টরেন্টোতে চলে যান। তখন থেকে তার এস্থেমার কোন সমস্যা নেই। কিন্তু প্রতি ডিসেম্বরে যখন তিনি তার মাতৃভূমিতে ভ্রমণ করতে আসেন, তখনি এস্থেমার সমস্যা শুরু হয়ে যায়।
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল শহরের মাঝে ঢাকা প্রথম সারিতে রয়েছে। তাই এখানের আবহাওয়া কতটা খারাপ ও ক্ষতিকর তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বর্তমানে নিজেদের রক্ষা করার জন্য শহরে অনেক মানুষের মুখে মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা যায়। খুব শীঘ্রই সরকারি ও বেসরকারিভাবে কোন পদক্ষেপ না নেয়া হলে এই সমস্যা চরম পর্যায়ে চলে যাবে। সারা বিশ্বকে এই বিষয়ে একত্রিত হয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে।–সুত্র: দ্যা স্টার।



মন্তব্য চালু নেই