‘দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে বন্ধুত্ব নয়’

দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে কোনো বন্ধুত্ব হতে পারে না মন্তব্য করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, বন্ধুত্ব হয় সমমর্যাদা ও পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে।

সরাসরি ভারতের নাম উল্লেখ না করলেও দেশটির সঙ্গে ট্রানজিট চুক্তির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘বন্ধুত্ব ভালো। কিন্তু নিজের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে বন্ধুত্ব হয় না। এই ধরনের বন্ধুত্ব কেউ চায় না।’

রোববার রাতে গুলশানে নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ময়মনসিংহ জেলা বার ইউনিটের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় খালেদা জিয়া এ কথা বলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, যমুনা সেতু দিয়ে যেতে বাংলাদেশের জনগণকে টোল দিতে হয়। কিন্তু ভিন্ন একটি দেশ সেতু ব্যবহার করবে আর টাকা-পয়সা দেবে না, তা তো হয়না। ট্রানজিটে বাধা নেই, কিন্তু রাস্তাঘাট ব্যবহার করলেও ট্যাক্স দিতে হবে।

রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করার বিরোধিতা করে খালেদা জিয়া বলেন, রমপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হলে সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে জীববৈচিত্র্য নষ্ট হবে। তিনি অন্য কোনো জায়গায় এ বিদ্যুৎকেন্দ্র করার আহ্বান জানান।

দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও কঠোর সমালোচনা করেন তিনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের নিরাপত্তা আইনের সমালোচনা করে বিএনপি প্রধান বলেন, একটি পরিবার সারাজীবন সবরকম সুযোগ-সুবিধা পাবে, আর অন্যরা কিছুই পাবে না, তা হয় না। এদের এই ব্যবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, দেশে রাজতন্ত্র কায়েম হয়েছে।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি প্রধান বলেন, যারা আন্দোলন-সংগ্রামে এবং দলের জন্য নিবেদিত, আগামীতে দলে তাদের মূল্যায়ন করা হবে।

এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ বক্তব্য দেন।



মন্তব্য চালু নেই