দেশের ৬৮ কারাগারে হাই অ্যালার্ট

দুই বিদেশি নাগরিক দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনা এবং এরপর উৎকণ্ঠার জের ধরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারসহ দেশের ৬৮টি কারাগারে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বিশেষত যেসব কারাগারে জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা বন্দী আছেন, সেসব কারাগারে নিরাপত্তা দ্বিগুণ বাড়ানো হয়েছে। এমনকি এসব বন্দীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ স্বজন ছাড়া অন্য কাউকে দেখা করার সুযোগও দেয়া হচ্ছে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কারাগার সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন জানান, কারাগারে সব সময়ই জোরদার নিরাপত্তা থাকে। এরপরও সাম্প্রতিক ঘটনাবলি বিবেচনায় দায়িত্বরত সবাইকে আরো বেশি সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

কারা কর্মকর্তারা জানান, ইতালি ও জাপানের নাগরিক হত্যার ঘটনায় জঙ্গি সম্পৃক্ততার দিকে আঙ্গুল তোলা হচ্ছে। এ কারণে কারাবন্দি জঙ্গিরা যাতে কারাভ্যন্তরে বসে কোনো ধরনের নাশকতামূলক তৎপরতা যাতে না চালাতে পারে বা কোনো পরিকল্পনার ছক কষতে না পারে সেজন্য তাদের ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া দেশের প্রতিটি কারাগারের বাইরে পুলিশ ও র‌্যাবের টহল বাড়ানো হয়েছে। সর্বোচ্চ নিরাপত্তার অংশ হিসেবে কারাগারগুলোতে বন্দিদের নিরাপত্তা রক্ষায় জেল সুপার, জেলার, ডেপুটি জেলার ও কারারক্ষীরা অতি সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে।

সূত্র জানায়, দেশের ৬৮টি কারাগারে সাড়ে ৪শ’ জঙ্গি বন্দী রয়েছে। ভয়ঙ্কর জঙ্গিরা বন্দী রয়েছে কাশিমপুরের হাই সিকিউরিটি কারাগারে। এর বাইরে সবচেয়ে বেশি জঙ্গি বন্দী রয়েছে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে। এই কারাগারে জেলার শাহাদত হোসেন জানান, এখানে বন্দিদের মধ্যে ২৪ জন জেএমবি সদস্য। অন্য কারাগারগুলোর কোনো কোনোটিতে সর্বোচ্চ ১০ জন জঙ্গি বন্দী রয়েছে বলে জানা গেছে।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার নেছার আলম বলেন, ‘জঙ্গিদের দিকে আমাদের সবসময়ই বেশি সতর্কতা থাকে। আর এখানে বন্দিদের মধ্যে জঙ্গি সংগঠনের সদস্য কম, চার থেকে পাঁচজন।’

কারা সূত্র জানায়, কারাগারে বসে জঙ্গিরা যাতে কোনো হামলা-নাশকতার পরিকল্পনা করতে না পারে সেজন্য তাদের সঙ্গে স্বজনদের দেখার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। মা-বাবা, সহোদর ভাই-বোন ও স্ত্রী-সন্তান ছাড়া অন্য কোনো আত্মীয়-স্বজন দেখা করার সুযোগ পাচ্ছে না। এমনকি ঘনিষ্ঠ স্বজনদের ক্ষেত্রেও জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করে দেখা করার সুযোগ দেয়া হচ্ছে। বাংলামেইল



মন্তব্য চালু নেই