দেশে কোনো জঙ্গি সংগঠন নেই

স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি সংগঠনের অস্তিত্ব নেই। জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) কোনো আস্তানাও নেই।’
শুক্রবার দুপুরে ফুলবাড়ি সীমান্ত ফাঁড়ি পরিদর্শন করে ফেরার পথে তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা শুন্য রেখায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
আসাদুজ্জামান আরও বলেন, ‘আমরা দেশে বা প্রতিবেশি ভারতে কাউকে কোনো রকম সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাতে দেব না। আমরা যেকোন সন্ত্রাসবাদের বিপক্ষে। বিশেষ করে প্রতিবেশি রাষ্ট্রের ব্যাপারে সজাগ রয়েছি।’
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বোমা বানাতে গিয়ে জেএমবির দুই জঙ্গি নিহত হয়েছেন এবং তারা বাংলাদেশি- ভারতীয় গণমাধ্যমের এমন দাবি প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বোমা তৈরির সময় দুইজন নিহত হওয়ার খবর প্রকাশিত হয়েছে। তারা বাংলাদেশি কিনা সে সর্ম্পকে সে দেশের সরকার এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।’
শিগগিরই বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে মানুষ পারাপার (ইমিগ্রেশন) শুরু হবে। এজন্য ভারত ও নেপাল সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও জানান তিনি।
একইসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী এও জানান যে, বিএসএফের পক্ষ থেকে সীমান্তে মারণাস্ত্র ব্যবহার না করার আশ্বাস দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বিজিবি-বিএসএফ সৌহার্দপূর্ণভাবে সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্ব পালন করবে।’
এরআগে তিনি বাংলাবান্ধা দিয়ে ভারতের ফুলবাড়ি সীমান্ত ফাঁড়ি পরিদর্শন করেন। এ সময় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর (বিএসএফ) শিলিগুড়ির মহাপরিদর্শক (আইজি) অখিল দীক্ষিত তাকে স্বাগত জানান। এ সময় পঞ্চগড়-২ আসনের সাংসদ নুরুল ইসলাম, বিজিবির রংপুর অঞ্চলের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল লতিফুল হায়দার, বিজিবির ঠাকুরগাঁও সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল আকরামুল হক, পুলিশের রংপুর রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) হুমায়ুন কবীর, সাবেক সাংসদ মজাহারুল হক প্রধান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে সীমান্ত সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে দুপক্ষের আলোচনা হয়। সীমান্তের যেকোন সমস্যা বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে সমাধান করছে। দুদেশের মধ্যে একটা চমৎকার সর্ম্পক বিরাজ করছে। আমাদের কোনো সীমানা বিরোধ নেই।’



মন্তব্য চালু নেই