দেশে প্রতিবছর ‘তামাক’ সেবনে মারা যাচ্ছে ৫৭ হাজার মানুষ

দেশে প্রতি বছর ‘তামাক’ সেবনে মারা যাচ্ছে ৫৭ হাজার মানুষ। এছাড়া একই কারণে পঙ্গুত্ববরণ করে ৩ লাখ ৮২ হাজার মানুষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক হিসাবের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ধূমপান বিরোধী নতুন সংগঠন ‘আধুনা’।

‘আমরা ধূমপান করি না (আধুনা)’র আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আধূনা’র আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান আলাল বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৫৬তম সম্মেলনে বাংলাদেশ আর্ন্তজাতিক চুক্তি-ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোবাকো কন্ট্রোল চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তি অনুযায়ী, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য উৎপাদন, ব্যবহার, ক্রয়–বিক্রয় ও বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রনের জন্য সরকার ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারে (নিয়ন্ত্রন) সংশোধন আইন ২০১৩ পাস করেন। পরে ২০১৫ সালের ১৯ মার্চ তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।’

মাহমুদুল হাসান অভিযোগ করে বলেন, ‘ধূমপান বিরোধী আইন পাশ হওয়া সত্ত্বেও এ আইন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তেমন কোনো অগ্রগতি না থাকায় জাতি হতাশ হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে আমরা ধূমপান বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলে উক্ত আইন সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করার লক্ষ্যে এই সংগঠনের মাধ্যমে প্রচার চালিয়ে যেতে চাই।’

সংবাদ সম্মেলনে আধূনার আহ্বায়ক সরকারের কাছে কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন, দাবিগুলো হলো- ‘ধূমপানকে নিরুৎসাহিত করতে আগামী অর্থ বাজেটে সকল তামাকজাত দ্রব্যের উৎপাদনের উপর দ্বিগুণ শুল্ক আরোপ করা। তামাক চাষীদের ওপর শাস্তি ও জরিমানার বিধান রেখে আইন প্রনয়ণ করা। স্থানীয় সরকারের তৃণমূল পর্যায়ে ধূমপান বিরোধী প্রচারণা চালানোর জন্য বাজেটে অর্থ বরাদ্দ করা। প্রকাশ্য স্থানে ধূমপান করার শাস্তি ও জরিমানার আইনের বিষয়টি আরো কঠোর ভাবে প্রয়োগ করা। সরকারি ও বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে অধূমপায়ীদের অগ্রাধিকার দেওয়া। বাংলাদেশের সকল পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধূমপান বিরোধী প্রচারণা চালানোর লক্ষ্যে ধূমপানের ক্ষতিকর বিষয়ে পাঠ্যপুস্তকে একটি অধ্যায় রাখার ব্যবস্থা করা।’

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সদস্য সচিব আমান উল্লাহ দেওয়ান, যুগ্ম আহবায়ক আতিকুর রহমান মিলন, আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই