দেহের জ্বালা মনের জ্বালা মিটাইতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা

চাটখিল উপজেলার হীরাপুর গ্রামের বাসিন্দা সোলেমান ভূইয়ার বিবাহিতা মেয়ে আমেনা আক্তার পাশের গ্রামের দূর সম্পর্কীয় তালতো ভাই বানসা গ্রামের গোয়াল বাড়ির সুমনের সাথে সোলেমান মিয়ার পাকেরঘরে সোমবার রাত ১০ টার সময় সরাসরি অপকর্মে হাতেনাতে ধরা পড়ে।

ঘটনার বিবরণে জানাযায় আমেনা আক্তারের স্বামী মোঃ ইউসূফ প্রবাসে থাকেন। ২০১৪ সালের মার্চ মাসে পার্শবর্তী রেজ্জাকপুর গ্রামের মোঃ হোসেন মিয়ার ছেলে মোঃ ইউসূফের সাথে আমেনা বেগমের ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক বিয়ে হয়।

অপকর্মকারী সুমন এর সাথে আমেনা বেগমের দীর্ঘ দিনের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা যায়। স্বামী প্রবাসে গেলে আমেনা বেগম পরকিয়ার টানে স্বামীর বাড়ি থাকতে চায় না। নানাহ চাল চাতুরির মাধ্যমে বাপের বাড়িতে চলে আসে।

আর এ সুযোগে সুমনের সাথে মোবাইল ফোনে সরাসরি সাক্ষাতে প্রেম নিবেদন করে চলছে অনায়াসে। সুমন প্রায় সময় রাতের বেলায় সোলেমান মিয়ার বাড়িতে আসলে তারা দুজনই দেহের জ্বালা মনের জ্বালা মিটাইতে ঘরের বাইরে চলে যায়। ঘটনার সময় সুমনের বাড়ীর আনাগোনায় এলাকার কিছু লোকে দেখে সন্দেহ হলে কেউ কেউ সোলেমান মিয়াকে জানায় আমেনা আক্তারের বাবা সোলেমান মিয়া তাতে কর্ণপাত করতেন না।

ঘটনার দিন সন্ধার পর সুমন সোলেমান মিয়ার বাড়ির সম্মূর্খে দোকানে এসে সময় কাটাতে দেখে পাড়ার কতেক ছেলে দূর থেকে তাঁকে ফলো করে। রাত ৯ টার পরে সুমন ফোনে কথা বলে একাকি সোলেমান মিয়ার বাড়ির দিকে ডুকতে এলাকার লোকজন/ফলোকারীরা গোপনে তার পিছু নেয়।

এরি মধ্যে সুমন গিয়ে সোলেমান মিয়ার পাকের ঘরে ডুকে, কিছুক্ষনপর আমেনা আক্তার তার বাবার ঘর থেকে এসে সে ও পাকের ঘরে প্রবেশ করে, এক পর্যায়ে তারা অবৈধ কর্মে লিপ্ত হলে দুদিক এলাকার ছেলেরা এসে দুজনকে হাতেনাতে ধরে ফেললে এক পর্যায়ে সুমন উলঙ্গ অবস্থায় গিয়ে সোলেমান মিয়ার পুকুরে পড়ে।

পুকুর থেকে উঠিয়ে উপস্থিত লোকজন মারধর করে চাটখিল থানায় খবর দেয়, পুলিশ এসে সুমনকে থানায় নিয়ে যাবার পথে সুমন কারসাজি করে পালিয়ে যায়। তাৎক্ষনিক এলাকায় ব্যপক ভাবে গটনা জানাজানি হয়ে যায়।

পর দিন চালাকী করে সোলেমান মিয়া তার ছেলে দিয়ে আমেনাকে শশুরবাড়ি পাঠালে শশুর আমেনাকে ঘরে ডুকতে না দিয়ে বাপের ব্ড়ি ফেরৎ পাঠায় বলে জানা যায়, এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানা কিৎবা আদালতে কোন মামলা হয় নাই।



মন্তব্য চালু নেই