দৈনন্দিনের কয়েকটি ইংরেজি শব্দ কিন্তু মানে জানলে আর ব্যবহার করবেন না!

রোজকার ব্যবহারের শব্দ। বাংলা ভাষাতেও দিব্যি জায়গা করে নিয়েছে। এদের প্রচলিত অর্থও বেজায় নিরীহ। কিন্তু ব্যুৎপত্তি বা আদি অর্থ জানলে ব্যবহার করতে গিয়ে ঠেক খাবেন।

১. ‘ফান্ডামেন্টাল’: আমাদের কথায় বার বার উঠে আসে ‘ফান্ডামেন্টাল নলেজ’ জাতীয় প্রয়োগ। শব্দটির প্রচলিত অর্থ ‘বেস’ বা ‘কোর’ অথবা ‘কেন্দ্রীয় গুরুত্বসম্পন্ন’। ‘ফান্ডামেন্টাল’ শব্দের ব্যুৎপত্তি লাতিন ‘ফান্ডামেন্টাম’ শব্দটি থেকে। এর অর্থ ‘ভিত্তি’। কিন্তু ১৩ শরকে ফরাসিরা একে ‘ফন্ডামেন্ট’-এ রূপান্তরিত করেন। যার মানে ‘পশ্চাৎদেশ’। আসলে মানব শরীরের ভিত্তি হিসেবেই নিতম্বের কথা উঠে আসে। ফলে ‘ফান্ডামেন্টাল’ শব্দের আদি মানে দাঁড়ায়— ‘নিতম্ব সংক্রান্ত’।

২. ভেনাস ফ্লাইট্র্যাপ: একটি ছোট পতঙ্গভোজী উদ্ভিদ। এর প্রকৃত অর্থ— ‘যে যোনি মাছি খায়’। আসলে এর আকৃতিই এই নামের জন্য দায়ী। রোমান সৌন্দর্যের দেবী ভেনাসকে স্ত্রী-যৌনতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ধরা হয়। ফলত, এই নামকরণের পিছনে যুক্তি যে একেবারে নেই তা বলা যায় না।

৩. অর্কিড: অনেকেই এর শৌখিন। কিন্তু এর প্রকৃত অর্থ নাকি ‘অণ্ডকোষ’। উৎস লাতিন ‘অর্চিস’, যার অর্থ পুং জননাঙ্গ। কোনও কোনও অর্কিডের শিকড়ের আকৃতি দেখেই এমন নাম হয়েছিল।

৪. সেমিনার: প্রকৃত অর্থ ‘সেমেন’ বা বীর্য। লাতিন ‘সেমিনারিয়াম’ শব্দ থেকে এসেছে ইংরেজি শব্দটি। এই শব্দের অর্থ ‘বীজভূমি’। ‘বীজ’ শব্দটি লক্ষণীয়। ‘বীর্য’ থেকে খুব দূরে কি?

৫. পেনসিল: প্রতিদিনের ব্যবহার্য শব্দ। এর অর্থ ‘অতি ক্ষুদ্র পুরুষাঙ্গ’ বা ‘আ টাইনি পেনিস’। প্রাচীন রোমানদের স্বভাবই ছিল কোনও কিছুকে যৌনাঙ্গের অনুষঙ্গে ব্যাক্ত করা। লাতিনে ‘পেনিস’ শব্দের অর্থ ‘লেজ’। আদিকালে পেনসিলের নাম ছিল ‘পেনিসিলিয়াস’ বা ‘ছোট্ট লেজ’।

৬. মাস্ক: কস্তুরি জাতীয় সুগন্ধি বিশেষ। এরও আদি অর্থ ‘অণ্ডকোষ’। কস্তুরি এক জাতের হরিণের দেহজাত বস্তু। যা দিয়ে সে বিপরীত লিঙ্গকে আকর্ষণ করে। এই অনুষঙ্গ থেকেই প্রাচীন কালের সুগন্ধী প্রস্তুতকারকরা পুং অঙ্গকে যুক্ত করেন এর নামকরণে।

৭. ভ্যানিলা: খাদ্যে প্রদেয় সুগন্ধীবিশেষ। আদি অর্থ ‘যোনি’। ১৫ শতকে মেক্সিকোর স্পেনীয় বিজেতারা ভ্যানিলা গাছের সন্ধান পান। ভ্যানিলার দানার সঙ্গে স্ত্রী-জননাঙ্গের সাদৃশ্য আঁরা লক্ষ করেন। তাঁরা এর নাম দেন ‘ভ্যাইনা’, যার অর্থ ‘যোনি’। লাতিনে এটাই ‘ভ্যানিলা’ হয়ে দাঁড়ায়।



মন্তব্য চালু নেই