দ্বিতীয় দফায়ও শপথ নিলেন না ইয়াবা ডন নুরুল হুদা

দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে অংশ নিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলার ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার নির্বাচিত হন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী নুরুল হুদা। নির্বাচনের পর ইয়াবা ব্যবসায়ীদের জয় নিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়।

সংবাদ প্রকাশের পর থেকে আত্মগোপনে চলে যান টেকনাফ সীমান্তের ইয়াবা ডন ও হ্নীলার ৮নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত মেম্বার নুরুল হুদা। এর ফলে গত ২৬ মে প্রথম দফা শপথে জেলা প্রশাসকের দরবারে আসেননি তিনি।

এমনকি সর্বশেষ গত ৯ জুন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছেও নির্ধারিত শপথ অনুষ্ঠানে হাজির হননি। অথচ এর আগে তাকে শপথ নিতে নিয়ম অনুযায়ী চিঠিও দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, বহু মামলার পলাতক আসামি নুরুল হুদা এতোদিন প্রশাসন ম্যানেজ করে প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও তাকে নিয়ে বস্তুনিষ্ট সংবাদ প্রকাশের পর তিনি কক্সবাজার থেকে গা-ঢাকা দেন। এ কারণে গত ২৬ মে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত শপথ অনুষ্ঠানে আসেননি তিনি। ওই দিন টেকনাফ উপজেলার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে ৭৭ জন শপথ নিলেও একমাত্র নুরুল হুদা শপথ নিতে আসেননি।

সর্বশেষ বৃহস্পতিবার টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে শপথ অনুষ্ঠানের দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হলেও তিনি নির্ধারিত শপথ অনুষ্ঠানে হাজির হননি।

এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা বেদারুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর গেজেট প্রকাশ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব থাকে। এরপর সকল জনপ্রতিনিধির দায়-দায়িত্ব স্থানীয় সরকার বিভাগের উপর ন্যাস্ত হয়। নুরুল হুদার বিষয়টি এখন স্থানীয় সরকার বিভাগ সিদ্ধান্ত নিবে।

দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) কক্সবাজারের উপ-পরিচালক আ ফ ম আলাউদ্দিন খান বলেন, প্রথমবার অনুপস্থিতির পর দিন নুরুল হুদা আবেদন দিয়ে নিজের অপারগতা প্রকাশ করে তাকে শপথ পড়ানো জন্য অনুরোধ করেন। তার আবেদনকে সম্মান জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে টেকনাফ ইউএনওকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সে মতে বৃহস্পতিবার তাকে ডাকা হলেও মামলায় হুলিয়ায় থাকায় হয়তো আসেননি। এখন নির্বাচন কমিশনে এ ব্যাপারে লিখিত জানানোর পর সেখান থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে তা পরবর্তীতে পালন করা হবে।



মন্তব্য চালু নেই