দ্বিপাক্ষিক অমীমাংসিত বিষয় নিরসনে আলোচনায় একমত বাংলাদেশ-মিয়ানমার

আলোচনার মধ্যদিয়ে দ্বিপাক্ষিক অমীমাংসিত বিষয় নিরসনে একমত হয়েছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। নিউ ইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সু চির মধ্যকার বৈঠকে দেশ দুটি এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। সোমবার জাতিসংঘ সদর দফতরে তারা এ বৈঠক করেন।

জাতিসংঘের সদর দফতরে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করীম সাংবাদিকদের জানান, দুই নেতা প্রতিবেশী দেশ দুটির দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলো আলোচনার মধ্য দিয়ে নিরসনে একমত হয়েছেন।

তিনি আরও জানান, বৈঠক চলাকালে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যুতে কফি আনান কমিশনকে স্বাগতম জানিয়েছেন।

বৈঠকে শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তার সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘অন্যদেশে জঙ্গি তৎপরতা চালানোর জন্য বাংলাদেশের মাটিকে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘জঙ্গিবাদ ও সহিংসতা মোকাবিলায় অন্যান্য প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সহযোগিতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এক দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে।’

প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমারের নেতাকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালে সু চি তা আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করেন।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ.এইচ মাহমুদ আলী, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ এবং পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক।

গত রবিবার কানাডা সফর শেষে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭১তম অধিবেশনের সাধারণ আলোচনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। পরে হোটেল ম্যারিয়ট ইস্টসাইডে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে আয়োজিত কাউন্টার টেরোরিজমের ওপর এশিয়ান লিডার্স ফোরামের বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। একই দিনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আয়োজিত উদ্বাস্তু বিষয়ক একটি বৈঠক এবং এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও শেখ হাসিনার যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই