‘দ্য বেস্ট ট্রফি’ ওজন ৬.৪ কেজি: জিতবেন কে মেসি না রোনালদো?

ফুটবলের রেকর্ড বইয়ের বেশিরভাগ পৃষ্ঠাতেই মনে হয় তাঁদের দু’জনের নাম রয়েছে। তাঁরা মাঠে নামলে প্রতি ম্যাচের পরেই রেকর্ড বইটা নতুন করে লিখতে বসতে হয়।

রেকর্ড ভাঙ্গা-গড়ার খেলায় মেতে থাকা লিওনেল মেসি এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো নিজেদের নিয়ে গেছেন অন্য এক উচ্চতায়। রেকর্ডের এই দুই বরপুত্র অগণিত কীর্তির পাশে নিজেদের নাম বসালেন অনেকবারই।

এবার নাম বসাতে পারেন ‘দ্য বেস্ট ট্রফি’ পুরষ্কার জিতে। তবে দেখার বিষয় হচ্ছে, রোনালদো কি তার সাফল্যের মুকুটে আরেকটি পালক যোগ করতে পারবেন, নাকি শেষ হাসিটা হাসবেন লিওনেল মেসি?

দুজনকে পেছনে ফেলে আতোয়াঁ গ্রিজমান যদি জিতে যান এই পুরস্কার! ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কারের ‘দ্য বেস্ট’ ট্রফিটি কার হাতে উঠবে আলোচনা এ নিয়েই। ‘ফিফা ব্যালন ডি’অর’ ব্যাপারটি অতীত হয়ে যাওয়ার পর বর্ষসেরা পুরস্কারের ট্রফিটি কেমন হয়েছে, বর্ষসেরা পুরস্কার পাওয়া ফুটবলারের হাতে তা কেমন মানাবে—এ নিয়ে জোর জল্পনাকল্পনা এখন ফুটবল বিশ্বে।

‘দ্য বেস্ট’ পুরস্কারের ট্রফিটি তৈরি হয়েছে ক্রোয়েশিয়ার শিল্পী আনা বারবিচ কাতিচিচের নকশায়। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা ট্রফিটি লম্বায় ৩১০ মিলিমিটার। ওজন সব মিলে ৬.৪ কেজি। ট্রফিটির একেবারে শীর্ষে বসানো হয়েছে একটি বল।

বলটি ফুটবল তুলে ধরছে ফুটবল আর ফিফার ইতিহাসকেই। দারুণ এই ট্রফি বানিয়ে মুগ্ধ স্বয়ং কাতিচিচই, ‘ট্রফিটি প্রথম দেখার পর আমি আনন্দে ভেসে গেছি।

এটা একটি স্বপ্ন পূরণ।’ তবে অনেকেই ‘দ্য বেস্ট’-এর ট্রফি দেখে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তাদের কাছে বেমানান ঠেকছে এর রংটা! রুপালি রং কখনো বিজয়ের হতে পারে না বলে অভিমত অনেকেরই।

ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার দিয়ে আসছে ১৯৯১ সাল থেকে। ২০১০ সালে ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কার আর ফ্রান্স ফুটবলে সাময়িকীর ব্যালন ডি’অর একীভূত হয়ে যায়। পুরস্কারটির নাম তখন ছিল ফিফা ব্যালন ডি’অর।

দুই পক্ষের চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ার পর গেল বছরই পুরস্কার দুটি আবার আলাদা হয়ে গেছে। ফ্রান্স ফুটবল গত ডিসেম্বরেই ব্যালন ডি’অর পুরস্কার দিয়ে দিয়েছে, যেটি উঠেছে রোনালদোর হাতে। জুরিখে ফিফা বর্ষসেরার পুরস্কার দেওয়া হবে ৯ জানুয়ারি রাতে।

এবার পরিবর্তন এসেছে বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচন হওয়ার প্রক্রিয়াতেও। বিভিন্ন দেশের জাতীয় দলের কোচ ও অধিনায়কের ভোট শুধু ৫০ শতাংশ ভূমিকা রাখবে। বাকি ৫০ শতাংশে থাকবে সমর্থক আর সারা বিশ্বের দুই শর বেশি সাংবাদিকের ভোট।



মন্তব্য চালু নেই