দ্রুতই শিক্ষকদের দাবির ব্যাপারে নিষ্পত্তি হবে

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভিন্ন চোখে দেখি না। সবাই শিক্ষার্থী। সবাই আমাদের সন্তান। সবার জন্য গুণগত শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।

রোববার (৩ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী জানান, দেশের মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশই শিক্ষার্থী। বর্তমানে ১২৯টি পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ২১ লাখের মতো শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে।

উচ্চশিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গঠিত অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের খসড়া নীতি নিয়ে আয়োজিত এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নুরুল ইসলাম নাহিদ।

নাহিদ বলেন, ‘পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকে একই মানে নিয়ে আসার লক্ষ্যে অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল গঠন করা হয়। এর নীতিমালার বিষয়ে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। আজ পূর্ণাঙ্গ খসড়ার ওপর আলোচনা হলো। আশা করছি, দ্রুতই এ নীতিমালার বাস্তবায়ন দেখতে পাব।’

মন্ত্রী বলেন, ‘মানসম্মত শিক্ষা ও শিক্ষায় বৈষম্য দূরীকরণের দায়িত্ব শিক্ষকদের নিতে হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায় ৫ লাখের বেশি শিক্ষক আছেন। শিক্ষার সামগ্রিক উন্নয়নে শিক্ষকদের আরো বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে।’

শিক্ষক আন্দোলনে সরকারের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের নাহিদ বলেন, ‘আমি নিজেকে শিক্ষা পরিবারের একজন মনে করি। শিক্ষকদের দাবিগুলো আদায়ের ব্যপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কয়েকবার মিটিং করেছি। দ্রুতই শিক্ষকদের দাবির ব্যাপারে একটা নিষ্পত্তি হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষাসচিব মো. সোহরাব হোসাইন।

উন্মুক্ত আলোচনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর আমিনুল হক, নোয়াখালি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ওয়াহিদুজ্জামান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীসহ পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েক উপাচার্য।

উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের উদ্যোগে অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের নীতিমালা তৈরি হচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই