দয়া করে নতুন বিতর্কে আমাকে জড়াবেন না: শাহরুখ

গত নভেম্বরে পঞ্চাশ বছরে পা রেখেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা ও বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান। জন্মদিনে একটি সাক্ষাৎকারে ভারতকে অসহিষ্ণু রাষ্ট্র বলায় ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। এমনকি ভারত থেকে তাকে বের করে দেয়ারও দাবী তুলেছিলেন কট্টরপন্থি অনেক সংঘঠন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রক্ষা হয় তার। এবার ভারতে নতুন করে ‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া’ নিয়ে যে বিতর্ক শুরু হয়েছে, তাই এসব থেকে দূরে থাকতে চান বলিউডের এই অভিনেতা।

জানা গেছে, সদ্য ‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া’র ব্র‌্যান্ড অ্যাম্বাসেডর থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট খ্যাত অভিনেতা আমির খানকে। আর তার জায়গায় নাম উঠছে আরেক মেগাস্টার অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের। সম্প্রতি কিং খান গিয়েছিলেন পশ্চিম বাংলায় একটি ব্যবসায়িক সফরে। আর সেখানে সাংবাদিক সম্মেলনে প্রসঙ্গতই এসে গেল ‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া’ বিতর্ক। কিন্তু এই বিতর্কে মোটেও কান দিতে নারাজ শাহরুখ খান। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে তাই বলে উঠলেন দয়া করে নতুন বিতর্কে নিজেকে জড়াতে চাই না।

এমনকি কলকাতায় পাকিস্তানি সঙ্গীত মায়েস্ত্রো গোলাম আলীর কনসার্ট বিষয়েও তাকে প্রশ্ন করলে এড়িয়ে যান শাহরুখ। এ প্রসঙ্গে শাহরুখ খান বলেন, যাই বলি না কেন শেষ পর্যন্ত আমার মন্তব্য রাজনৈতিক কিংবা ধর্মের সাথে ঘুলিয়ে ফেলা হবে। আর তাই নতুন করে কোনো বিতর্কে জড়াতে চান না বলে জানান এই জনপ্রিয় অভিনেতা।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়ার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরের পদে আসিন ছিলেন আমির খান। ভারতীয় পর্যটনকে বিশ্বের দরবারে ভালোভাবে প্রচার এবং তুলে ধরার কাজটি খুব ভালোই করে আসছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ করেই নেই দায়িত্ব থেকে কোনো কারণ ছাড়াই সরিয়ে দিলো বর্তমান ভারত সরকার। ‘অসহিষ্ণুতা’ ইস্যুতে খোলামেলা ভারত সরকারের সমালোচনা করেছিলেন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ এবং মিস্টার পারফেকশনিস্ট খ্যাত অভিনেতা আমির খান। আর সেসময় তাদের মন্তব্য নিয়ে ভারতজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। অবস্থা এতোটাই নাজুক ছিল যে তাদের নিরাপত্তা বাড়িয়ে দ্বিগুন করা হয়েছিল। কিন্তু, সম্প্রতি ভারত সরকার সেই নিরাপত্তাও এবার কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।



মন্তব্য চালু নেই