ধর্মঘট আহ্বানকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কেন নয় : হাইকোর্ট

আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে পরিবহন ধর্মঘট কেন অবৈধ নয় এবং ধর্মঘট আহ্বানকারীদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বুধবার দুপুরে এ সংক্রান্ত একটি রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও মো. আতাউর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

সেতু সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজপি, ডিজি র‌্যাব, আট বিভাগের ডিআইজি, বিআরটিএ ও বিআরটিসির চেয়ারম্যানসহ মোট ১৭ বিবাদীকে তিন সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সকালে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট আবেদন করেন।

তিনি বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক না হলে পরিবহন মালিকদের গাড়ির লাইসেন্স বাতিল চাওয়া হয়েছে রিটে।

প্রসঙ্গত, সড়ক দুর্ঘটনায় সাংবাদিক মিশুক মুনীর ও চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদসহ পাঁচজন নিহতের মামলায় বাসের চালক জামির হোসেনকে গত ২২ ফেব্রুয়ারি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।

এই রায়ের প্রতিবাদে প্রথমে চুয়াডাঙ্গা, পরে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় আঞ্চলিকভাবে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয় শ্রমিকরা।

এরই মধ্যে সাভারে ট্রাকচাপায় এক নারী নিহতের দায়ে চালকের বিরুদ্ধে সোমবার মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন আদালত। এরপরই মঙ্গলবার থেকে সারা দেশে আকস্মিক ধর্মঘট ডাকা হয়।

পরে বুধবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে মতিঝিলে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি কার্যালয়ে মালিক-শ্রমিক ও সরকারের ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বৈঠক শেষে বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি এবং নৌমন্ত্রী শাজাহান খান এ তথ্য জানান।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ।



মন্তব্য চালু নেই