ধর্ষণের সাজা ১০বার থুথু চাটিয়ে জরিমানা !

রাজশাহীর বাঘায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সালিশে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ধর্ষককে মাটিতে থুথু ফেলে ১০বার চাটানো হয়।

এদিকে ধর্ষিত ওই কিশোরীর বাবা এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।

এই মামলায় পুলিশ ধর্ষকের বাবা কামরুল ইসলাম কামুকে গ্রেফতার করেছে। তবে অভিযুক্ত সম্রাট আলী (১৮) পলাতক রয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার খায়ের হাট পশ্চিমপাড়া এলাকায়।

এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার সকালে বাঘার খয়েরহাট গ্রামের বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে কৌশলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে সম্রাট। এ সময় ওই কিশোরীর আর্তচিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে সম্রাটকে ঘরের মধ্যে আটকানোর চেষ্টা করে। তবে ঘরের জানালা ভেঙে সে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনার পরে রাত ৯টার দিকে স্থানীয় বাঘা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রোকনুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি সালিশ বৈঠক বসে। এতে স্থানীয় নজরুল ইসলাম, সৌরভ হোসেন, আবদুল গফুরসহ ২০০ শতাধিক লোক উপস্থিত ছিলেন।

সালিশে সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে মাটিতে থুথু ফেলে ১০বার চাটানো হয়। এছাড়াও ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

তবে সম্রাটের বাবা কামরুল ইসলাম কামু জরিমানার টাকা তিন মাসের মধ্যে পরিশোধ করবেন বলে সময় চান। কিন্তু সালিশকারীরা তাতে রাজি না হলে ভেস্তে যায় সালিশ বৈঠক।

ওই সালিশ থেকেই সম্রাট ফের পালিয়ে যায়। পরে রাতেই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে বাঘা থানায় একটি মামলা করেন।

বাঘা থানার ওসি (তদন্ত) ধীরেন্দ্র নাথ জানান, মামলা দায়েরের পর সম্রাটের বাবাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সম্রাটকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।



মন্তব্য চালু নেই